গোমাংস ডেলিভারিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন Zomato কর্মীরা। এই কারনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করেছেন Zomato ডেলিভারি কর্মীরা। রবিবার হাওড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। কর্মীদের দাবি তাদের গোমাংশ ডেলিভার করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সোমবার কলকাতার একাধিক জায়গায় কোম্পানির ডেলিভারি কর্মীরা জানিয়েছেন তারা পর্ক ও বিফ ডেলিভারি করবেন না। Zomato জানিয়েছে ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
“আমাদের প্রাপ্য টাকার জন্য আমরা লড়াই করছি। এছাড়াও আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের গোমাংস ডেলিভার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” প্রতিবাদের সময় জানিয়েছেন এক কর্মী। তাদের অভিযোগ কোম্পানি কর্মীদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান দিচ্ছে না।
“Zomato -র দাদাগিরি চলবে না।” প্রতিবাদ সভায় আওয়াজ তোলেন কর্মীরা।
“আমাদের দাবি না শুনেই আমাদের পর্ক ও বিফ ডেলিভার করতে বাধ্য করছে কোম্পানি। হিন্দুরা গোমাংস ডেলিভার করতে চান না, মুসলিমরা শুকরের মাংস ডেলিভার করতে চান না। কয়েক দিন আগেই আমাদের জানানো হয়েছিল শুকরের মাংস ডেলিভার করতে হবে। আমরা এই কাজ করতে চাই না। কোন শর্তেই আমরা শুকরের মাংস ডেলিভার করব না। এই কারনে আমাদের টাকা আটকে রেখেছে কোম্পানি।” জানিয়েছেন মৌসিন আখতার নামে এক ডেলিভারি বয়।
“আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে খেলছে কোম্পানি। এমনকি ধমক দেওয়া হচ্ছে আমাদের। হিন্দু ডেলিভারি কর্মীদের গোমাংস ডেলিভার করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা কোম্পানিকে ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।” বলেন এক Zomato কর্মী।
রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজিব ব্যানার্জী Zomato কর্মীদের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কর্মীদের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে খেলার অধিকার নেই কোম্পানির। কর্মীদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত কোম্পানির।”
এক বিবৃতিতে Zomato জানিয়েছে, “সামান্য কিছু কর্মী এই প্রতিবাদ শুরু করেছেন।” ইতিমধ্যেই সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা চলছে।
“ভারিত এক বিশাল দেশ। এখানে খাবারের জন্য আলাদা ডেলিভারি কর্মী রাখা সম্ভব নয়। কাজে আসার আগে কর্মীদের রোজকার সমস্যা মাথায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের সব কর্মী এই কথা বোঝেন। হাওড়াতে কিছু কর্মী প্রতিবাদ শুরু করেছেন। আমরা সমাধানের পথ খুঁজছি।”
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন