গত বছরের শেষে চিনের উহান শহরে COVID-19 coronavirus (SARS-CoV2) সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সপ্তাহের শুরুতেই ভারতে দুই ব্যক্তির করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে 89,000 মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। 3,000 -এর বেশি মানুষ এই ভাইরাস আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও COVID-19 ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। যদিও করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে পারেন। উদ্বিগ্ন না হয়ে কী কী করবেন? দেখে নিন।
স্বাস্থ্য দফতরে কাজ না করলে, অথবা বাড়িতে কেউ অসুস্থ না হলে এখনই করোনাভাইরাসের জন্য মাস্ক পরার কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র একটি মাস পরে COVID-19 ভাইরাস সংক্রমণ এড়ানো নিশ্চিত করা যায় না। সার্জিকাল মাস্ক পরে কোনভাবেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানো যাবে না। গোটা বিশ্বের মানুষ হঠাত সার্জিকাল মাস্ক কিনে পড়তে শুরু করার কারণে যাদের প্রকৃত কারণে এই মাস্ক প্রয়োজন সেখানে জোগানে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরে N95 মাস্কের জনপ্রিয়তা হঠাত এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। একটি সার্টিফায়েড N95 মাস্ক বায়ুবাহিত কণার 95 শতাংশ দূরে রাখতে সাহায্য করে। যা করোনাভাইরাস দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। তবে এই মাস মখের সঙ্গে সম্পূর্ণ বদ্ধ থাকলে তবেই করোনাভাইরাস দূরে রাখা সম্ভব। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোন মাস্ক করোনাভাইরাসকে 100 শতাংশ নিশ্চিতভাবে দূরে রাখতে পারে না।
এছাড়াও এই মুহূর্তে বাজারে N95 নামে বহু মাস্ক বিক্রি হলেও আদতে সেই মাস্কে N95 সার্টিফিকেশন থাকছে না। 3M এর মতো নাম-করা মাস্কে এই সার্টিফিকেশন পাবেন।
প্রথমেই উদ্বিগ্ন না হয়ে শান্ত হন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শান্ত হয়ে নিজের চারপাশে কী হচ্ছে সেই বিষয়ে নিয়মিত খবর রাখুন। মনের ভিতরের ভয়ের কারণে দোকানে গিয়ে অথবা অনলাইনে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা বন্ধ করুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়মিত সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে। যে সব পাঠক এই প্রতিবেদন পড়ছেন প্রত্যেকের বাড়িতে ইতিমধ্যেই সাবান ও জল রয়েছে। না থাকলে কী করতে হবে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন। হাঁচি, কাশির সময় হাত দিয়ে নাক মুখ ঢেকে নিন। শরীর খারাপ মনে হলে অফিসে না গিয়ে বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন।
করোনাভাইরাস দূরে রাখতে কোন গ্লাভস পরার প্রয়োজন নেই। নিয়মিত অন্তত 20 সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তবে শুধু করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে নয়, জীবনে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এই কাজ করা প্রয়োজন।
এখনও কিছু একটা কেনার ইচ্ছা থাকলে নিকটবর্তী দোকানে গিয়ে একটা সাবান কিনে আনুন। এছাড়াও পরিবারের জীবাণুনাশক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ ঘরে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবহার করোনা ভাইরাসকে দূরে রাখতে পারে না।
নিজের এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পেলে এক ধাপ এগিয়ে ফাস্ট এইড টুল সহ একটি ইমার্জেন্সি কিট তৈরি করতে পারেন। সঙ্গে একটি ফ্ল্যাশলাইট, একটি কম্বল, মোবাইল পাওয়ার ব্যাঙ্ক, অতিরিক্ত জামাকাপড় মজুদ করে রাখতে পারেন।
এই অবস্থায় পৌঁছলে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘরের মধ্যে কাটানোর চেষ্টা করুন। বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ করে রাখুন। মনকে শান্ত রাখতে কোন অতিরিক্ত খরচ হবে না এবং এই অবস্থা মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন