শুক্রবার রাতে এই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আজ রাতে 1 ঘন্টা 43 মিনিট ধরে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়বে। 1 ঘন্টা 43 মিনিট পূর্ণগ্রাস গ্রহন হলেও এই গ্রহন 6 ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলবে। একই সাথে বর্ষা ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় জর্জরিত দক্ষিণবঙ্গবাসী। গত কয়েক দিন ধরেই আকাশে সুজ্জিমামার দেখা নেই। শুক্রবার রাতেও আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই এমন ঐতিহাসিক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ হারাতে চলেছেন এই রাজ্যের নাগরিকরা।
এই গ্রাহণের সময় চাঁদের রঙ লাল হয়ে যাবে। বৈজ্ঞানিক রা এই ঘটনাকে ‘ব্লাড মুন’ বলে থাকেন। ভারতে থেকে শতাব্দীর এই সবথেকে দীর্ঘ গ্রহন দেখা যাবে।ভারত ছাড়াও দক্ষিণ চিন, পূর্ব আফ্রিকা ও আরবের দেশগুলি থেকে এই গ্রাহণ দেখা যাবে। প্রসঙ্গত পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়লে সেই ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
অত্যাধিক বায়ু দূষণের কারণে ভারতের বিভিন্ন বড় শহর থেকে এই গ্রহণ ভালো ভাবে দেখা যাবে না। তবে শহর থেকে একটু দূরে গেলেই স্বমহিমায় শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তবে বর্ষাকালে ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় আকাশে মেঘ থাকার কারণে এই গ্রহণ দেখা থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে পারেন বেশিরভার দেশবাসী। এই চন্দ্রগ্রহণের সাথেই আজ রাতে আকাশে উল্কা বৃষ্টি দেখা যাবে।
শুক্রবার রাতেও দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই এই গ্রহণের সাক্ষী হওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন এই রাজ্যের মানুষ। তবে মন খারাপ করার কারন নেই। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে অনলাইনের সরাসরি এই ঐতিহাসিক গ্রহণ দেখা যাবে।
শুক্রবার রাত 11টা 44 মিনিট থেকে এই গ্রহণ শুরু হবে। তবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হবে রাত 1টায়। রাত 1টা 15 মিনিট থেকে 2টা 43 মিনিট পর্যন্ত পৃথিবীর ছায়ার সম্পূর্ণ পিছনে থাকবে চাঁদ। এই সময় চাঁদের রঙ লাল হয়ে যাবে। ভোর 4টা 58 মিনিট পর্যন্ত এই গ্রহণ চলবে।
এই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ এটি। এর পরে 9 জুন 2123 সালে এর থেকে বড় চন্দ্রগ্রহণ হবে। এই সময় পৃথিবী থেকে সবথেকে দূরে থাকবে চাঁদ। এর ফলে সাধারণ দিনের থেকে চাঁদের আকার একটু ছোট হয়ে যাবে। চাঁদের এই ছোট হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘মাইক্রো মুন’ বলা হয়।
‘ব্লাড মুন’ কী?
আজ রাতের চন্দ্রগ্রহণে ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে। এই সময় চাঁদ থেকে একটি লাল আভা বের হবে। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রতিসারিত আলো চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে গিয়ে পড়ার জন্য এই লাল আভা দেখা যাবে। নীল ও বেগুনী রঙের থেকে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি ছড়িয়ে পড়ে বলেই চাঁদের রঙ লাল হয়ে যাবে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন