তুরষ্কে শেষ রাইড শেয়ারিং ক্যাব সার্ভিস উবের। এমনটাই জানালেন সেই দেশের রাষ্ট্রপতি। সম্প্রতি ইস্তানবুলের ট্যাস্কি ড্রাইভাররা উবের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তাদের দাবি বেআইনিভাবে ব্যাবসা করছে উবের।
তুরস্কের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগ বাস করেন দেশের রাজধানী ইস্তানবুলে। আর সেই শহরে চলে মোট 17,400 ট্যাস্কি। আর 2014 সালে সেই দেশে উবের প্রবেশ করার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছিল।
সম্প্রতি উবের রেজিস্ট্রেশানের নিয়মে অনেক কড়াকড়ি এনেছে তুরষ্কের সরকার। এর সাথেই এই আইন ভাঙলে দুই বছর নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। আর তখনি সেই দেশের রাষ্ট্রপতি এই কথা জানালেন।
শুক্রবার ইস্তানবুলে এক ভাষনে তিনি বলেন “উবেরের ব্যাবসা শেষ। এই জিনিস আর উপস্থিত নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিজেদের ট্যাক্সি সিস্টেম আছে। সেখানে উবের আসে কোথা থেকে? এটা ইউরোপে ব্যাবহার হয়। আমরা কি ব্যাবহার করব তা আমরাই ঠিক করব।”
যদিও উবের এর তরফে এই বিষয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগে সেই দেশের পরিবহন আইনে বদল আসার পরে সেখানে সবার সাথে হাত মিলিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার আশা করেছিল কোম্পানি।
উবের জানিয়েছে প্রায় 2000 হলুদ ট্যাক্সি ড্রাইভার যাত্রী খঁজার কাজে এই অ্যাপ ব্যাবহার করেন। এছাড়াও 5000 চালক XL সার্ভিস ব্যাবহার করেন। বড় গ্রুপ আ এয়ারপোর্ট ক্যাবে দারুন জনপ্রিয় এই ক্যাবগুলি।
এই বছরের শুরুতেই ইস্তানবুলের আদালতে সেই দেশের ট্যাক্সি ড্রাইভাররা উবেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল বেআইনি ভাবে তুরষ্কে গাড়ি চালাচ্ছে এই ক্যাব বেসড রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। আর এর ফলেই তাদের ব্যাবসা ক্ষতিগ্রাস্থ হচ্ছে বলেই জানিয়েছে ইস্তানবুলের ট্যাক্সি চালকরা।
একাধিক রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল হলুদ উবের ড্রাইভার ও যাত্রীদের ট্যাক্সির ড্রাইভারের হিংস্রতার মুখে পড়তে হয়েছে। আর এবার রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য হলুদ ট্যাক্সি চালকদের আরও ইন্ধন যোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা উবের কিভাবে সামাল দেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন