Photo Credit: Twitter/ ISRO
পৃথিবীর পাঁচটি ছবি পাঠাল চন্দ্রযান । শনিবার রাত ১০.৫৮ থেকে ১১.০৭-এর মধ্যে চন্দ্রযান-২ এই ছবিগুলি তুলেছে। গত ২২ জুলাই চন্দ্রযান-২ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। যদি এই অভিযান সফল হয়, তাহলে এব্যাপারে ভারতই হবে চতুর্থ দেশ। ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান NDTV-কে জানান, ‘‘ছবিগুলি স্বচ্ছ পরিষ্কার এবং মহাকাশযানটি নিখুঁত ভাবে স্বাভাবিক। আমি এই মিশন নিয়ে এখনও পর্যন্ত দারুণ খুশি। ল্যান্ডার এই ছবিগুলি তুলেছে। যা থেকে মনে হচ্ছে এটি চাঁদে অবতরণের সময়কার ১৫ মিনিটের ভয়ঙ্কর মুহূর্তেও কাজ করবে।'' ল্যান্ডারে বসানো LI4 ক্যামেরা ৫,০০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছবিগুলি তুলেছে। আমেরিকান মহাদেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশ দেখা গিয়েছে ছবিগুলিতে।
চন্দ্রযান-২-কে মহাকাশে নিয়ে যায় ৪৪ মিটার লম্বা GSLV Mk3 রকেট, যা ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান রকেট। এর মধ্যে একটি অর্বিটার, ‘বিক্রম' (ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে এই নামকরণ) নামের একটি ল্যান্ডার ও ‘প্রজ্ঞান' নামের একটি মুন রোভার রয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ৩.২৭-এ পৃথিবীর কক্ষপথের চতুর্থ স্তরটি সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করেছে চন্দ্রযান-২। পঞ্চম স্তরটি মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে অতিক্রম করে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ১৪ আগস্ট। ২০ আগস্টের মধ্যে তা চাঁদের অভিকর্ষজ এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়বে।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদে অবতরণ করার কথা চন্দ্রযানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই মুহূর্তটি ‘লাইভ' দেখবেন। এর আগে ২০১৪ সালে মঙ্গলযান বেঙ্গালুরুর মিশন পরিচালনাকারী সংস্থায় বসেই দেখেছিলেন তিনি।
১০০০ কোটি টাকার চন্দ্রযান-২ ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান। চন্দ্রযান-১ মিশনে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও ছিল। খরচ পড়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা।
২০২২ সালের মধ্যে ‘গগনযান'-এ মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এত কম খরচে মহাকাশ অভিযান সম্পন্ন করার ফলে ভারত মহাকাশ-শক্তি হিসেবে ক্রমশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন