Photo Credit: Yes Theory ইউটিউব চ্যানেল
আজকাল Facebook, WhatsApp এর মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য পাই। আর সেই তথ্য কোনভাবে যাচাই না করে তা বিশ্বাস করে নি। শুধুমাত্র বিশ্বাসে ক্ষান্ত না হয়ে শুরু হয় সেই তথ্য একাধিক গ্রুপে বা ফেসবুকে শেয়ার করে প্রচারের কাজ। কিন্তু এই কাজ যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার আদর্শ নিদর্শন সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া জাস্টিন বিবারের একটি ছবি।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে পপস্টার জাস্টিন বিবারের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে একটি পার্কে বসে জাস্টিন বিবারকে একটি বারিটো খেতে দেখা যায়। বারিটো উপর থেকে নীচে খাওয়ার নিয়ম। কিন্তু এই ছবিতে দেখা গিয়েছে জাস্টিনকে বারিটো খেতে দেখা গিয়েছে। হাস্যকর এই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরে গোটা দুনিয়ার হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন পপস্টার।
প্রত্যাশিতভাবেই এই ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টক শো তে এই ছবি নিয়ে আলোচনা শুরুয় হয়ে যায়। কিন্তু এই গোটা ছবিটি ইন্টারনেটকে বোকা বানানোর জন্য তৈরী করেছেন এক ইউটিউবার।
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘Yes Theory' এই ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন। ইন্টারনেটকে বোকা বানানোই ছিল এই ছবি লক্ষ্য। এই ছবিতে জাস্টিন বিবারের মতো দেখতে এক কানাডার ব্যাক্তিকে সাজিয়ে রিতিমতো পরিকল্পনা করে এই ছবি তোলা হয়েছে। এরপরে সেই ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ‘Yes Theory' র এক সদস্য জানিয়েছেন “এই ছবি দেখার পরে সারা পৃথিবীর একজনও এই ছবিতে আসল জাস্টিন বিবারকে দেখা যাচ্ছে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নি।”
আর এখানেই আসছে প্রশ্ন উঠছে অনলাইনে পাওয়া যে কোন তথ্যের সস্ত্যতা নিয়ে। এই ক্ষেত্রে যেমন অন্য এক ব্যক্তিকে জাস্টিন বিবার সাজিয়ে পরিকল্পনা করে বোকা বানানোর কাজ করা হয়েছিল। একই ভাবে কম্পিউটারে একাধিক সফফওয়্যার ব্যবহার করে যে কোন ছবিকে বিবৃত করে ছবির তথ্য সমূর্ণ বদলে ফেলা যায়। এমনকি ভিডিওতেও কোন ব্যক্তির মুখ বদল করে অন্য ব্যক্তির মুখ বসিয়ে বদলে তথ্য বিবৃত করার টেকনোলজি এখন সহজলোভ্য। তাই অনলাইনে কিছু দেখলে তৎক্ষণাৎ তা বিশ্বাস না করে একবার যাচাই করে নেওয়ার শিক্ষা দিল এই ভিডিও।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভুয়ো খবর প্রচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। এই কারনে WhatsApp এর মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সময় ইউটিউবে এই ভিডিও নিঃসন্দেহে ডিজিটাল সচেতনতা প্রসারে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশ যেখানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ জীবনে প্রথম বার অনলাইন হচ্ছেন সেখানে এই ভিডিও বেশ প্রাসঙ্গিক।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন