Photo Credit: Wikipedia/ Riikka Puurunen
ফিনল্যান্ডের পদার্থবিজ্ঞানী তুওমো সানতোলা জিতে নিলেন ফিনল্যান্ডের মিলেনিয়াম প্রাইজ। যুগান্তকারী প্রযুক্তি ব্যাবহার করে যে কোন জটিল ডিভাইসের আকার ছোট করে দেওয়ার জন্যই এই পুরস্কার জিনে নিলেন সানতোলা।
74 বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী 1.18 মিলিয়ান ইউরোর এই মিলেনিয়াম পুরস্কার জিতে নিলেন।
“সানতোলার পুরস্কার বিজয়ী ALD (atomic layer deposition) নামের ন্যানোস্কেল প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছেন। সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাবহার হবে এই প্রযুক্তি” বলে জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের টেকনোলজি অ্যাকাডেমি।
কম্পিউটার, স্মার্টফোন, মাইক্রোপ্রসেসার ডিজিটাল মেমোরি ডিভাইসে তার এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে হচ্ছে। রোজ ব্যবাবহার হওয়া এই ভিভাইসগুলিকে ছোট সাইজেও হাই পারফর্মেন্স থাকছে এই ALD প্রযুক্তি ব্যাবহারে।
1974 সালে এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সমস্ত হাসপাতেলে বড় সব মনিটার বাতিল করে ফ্ল্যাট মনিটার লাগাতে সাহায় করেছিলেন এই মানুষটি।
“শুরুতে আমাদের কোন গবেষণাগার ছিল না। কিন্তু আমি দেওয়ালের পিতিওডিক টেবিলে সবসয় চোখ বোলাতে থাকতাম। আর সেখান থেকেই এই প্রযুক্তি বানানোর চিন্তা প্রথম মাথায় আসে আমার।” বলে জানিয়েছেন এই পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী। হেলসিঙ্কিতে এই ইভেন্টে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
1990 এর দশকে সব কোম্পানি তার এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি ব্যাবহার করে পাতলা সব হাই এন্ড ডিভাইস তৈরী শুরু করেছিল।
“কম্পোনেন্টের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করেছে ALD। এই প্রযুক্তি না থাকলে কখনই তৈরী হত না আজকের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারগুলি।” ব্যাখ্যা করেছে জানিয়েছেন সানতোলা।
নিজের পরিবারে বরাবরই ছিল পড়াশূনা করার চল। নিজেও হেলসিঙ্কি বিশ্ববিধ্যলয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই পদার্থবিদ্যায় আগ্রহ ছিল সানতোলার। খুব ছোট বয়স থেকেই বন্ধুদের সাথে রেডিও বানানোর কাজ করে ফেলেছিলেন এই বিজ্ঞানী।
যদিও পুরস্কার মূল্যের মিলিয়ান ইউরো অশ্চর্য করেছে সানতোলাকে। তিনি জানিয়েছেন অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে এই প্রযুক্তির পেটেন্ট। তাই বিশেষ টাকা রোজগার হয়নি এই আবিষ্কার থেকে।
প্রসঙ্গত গত 2004 সালে শুরু হয় ফিনিস মিলেনিয়াম টেকনোলজি পুরষ্কার। ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক প্রয়োগের জন্য দেওয়া হয় এই পুরষ্কার।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন