Photo Credit: Twitter/ DRDO
মহাকাশে (Space) ভারতের এ স্যাট পরীক্ষায় (AS AT Test) শ'চারেক ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। এই বিষয়টিকে ভয়াবহ ব্যাপার বলে ব্যাখ্যা করল নাসা (NASA) । নাসার তরফে বলা হয়েছে ওই পরীক্ষার ফলে মহাকাশে ৪০০টি ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। আর তার ফল হতে পারে মারাত্মক । নাসার কর্তা জিম বার্ডেস্টাইন সংস্থার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় জানিয়েছেন, পরীক্ষার পর মহাকাশের ইতিউতি যে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে তার সবকটিকে না হলেও কয়েকটিকে সন্ধান করা সম্ভব। ১০ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে বড় এমন ৬০টি ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
তাঁর ব্যাখ্যা, পরীক্ষাটি হয়েছিল নিম্ন অক্ষপথে। তাই ধ্বংসাবশেষ যা আছে সেগুলি উপগ্রহের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে এমন সম্ভবনা বেশ কম। তবে জিম বলছেন ২৪টি ধ্বংসাবশেষ উপরের দিকে যাচ্ছে। তাঁর মতে এভাবে ধ্বংসাবশেষ উপরের দিকে উঠে যাওয়া একটি ভয়াবহ বিষয়। আগামী সময়ের মহাকাশ চর্চার জন্য এটি ভাল বিজ্ঞাপনও নয়। আমাদের কাছে এটা মেনে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। নাসার স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া দরকার।
ভু-পৃষ্ঠ থেকে 180 মাইল (প্রায় 300 কিমি) উপরে তুলনামুলক কম উচ্চতায় ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহটি ধ্বংশ করা হয়েছিল। এর থেকে অনেকটা উপরে থাককে ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশান অথবা অন্যান্য কৃত্রিম উপগ্রহগুলি।
আমেরিকার সামরিক বাহিনী মহাকাশে নজরদারি চালায়। দুটি বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে সংঘাতের সম্ভবনা আছে কিনা সেটাই দেখে আমেরিকা। ১০ সেন্টিমিটার বা তার থেকে বড় এমন ২৩ হাজার উপাদান খতিয়ে দেখছে তারা। আর এর মধ্যে ১০ হাজারই হল কোনও না কোনও ধ্বংসাবশেষ। এই ১০ হাজারের মধ্যে ৩ হাজার ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছিল একটি ঘটনায়। সেটা ২০০৭ সালের ঘটনা। সেবার এ স্যাট বা অ্যান্টি স্যাটেলাইট টেস্ট করেছিল চিন। অন্যদিকে নাসা বলেছে, ভারতের পরীক্ষার পর মহাকশের উপাদানগুলির মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন