আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে যে কোন মানুষের ছবি নিখুঁত ভাবে এডিট করে দেবে FaceApp
গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজের বেশি বয়সের ছবি পোস্ট করছেন। FaceApp নামে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে এই ধরনের ছবি তৈরী করা যাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে এই কাজ করছে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপটি। তবে FaceApp ব্যবহার কিন্তু পরে বিপদ ডেকে আনতে পারে। অন্তত FaceApp ব্যবহারের শর্তাবলী সেই কথা বলছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে নিখুঁত ভাবে যে কোন মানুষের ছবিকে এডিট করে দেবে FaceApp। সেই কারনেই আবার জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে মোবাইল অ্যাপটি। Android ও iOS ডিভাইস থেকে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাপ। ছবিতে বয়স কমানো অথবা বাড়ানো ছাড়াও এই অ্যাপ ব্যবহার করে চুল ও দাঁড়ির কায়দা বদল করা সম্ভব। স্মার্টফোন থেকে যে কোন ছবি নিজেদের সার্ভারে আপলোড করে এই ছবি এডিটিং এর কাজ করে FaceApp। আর সেখানেই সন্দেহের সূত্রপাত।
ট্যুইটারে এলিজাবেথ পটস উইন্সটাইন নামে এক মহিলা FaceApp ব্যবহারের শর্তাবলী পোস্ট করে একটি ট্যুইট করেছেন। সেখানে যা লেখা রয়েছে তা পড়লে আপনা পিলে চমকে উঠবে। FaceApp ব্যবহারের শর্তাবলীতে লেখা রয়েছে এই অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি কোম্পানির সার্ভারে আপলোড করা সব ছবি, নিজের নাম, আপনি কী পছন্দ করেন, আপনার গলা এই সব তথ্য বাণিজ্যিক কারনে ব্যবহারের আনুমতি দিচ্ছেন।
ইউরোপের একাধিক দেশে ব্যাক্তিগত তথ্য গ্রাহককে না জানিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বেআইনি। সেই ক্ষেত্রে FaceApp যে দেশে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ বেআইনি নয় সেই দেশে এই সেই তথ্য পাঠিয়ে অন্য দেশের নিয়ম দেখিয়ে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাবে FaceApp।
নিজের সব ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য FaceApp এর সাথে ভাগ করে নিতে না চাইলে এই অ্যাপ থেকে দূরে থাকাই ভালো। এর আগেও একাধিক অ্যাপ এই ধরনের কাজ করে কয়েক কোটি মানুষের ব্যাক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। অনলাইন দুনিয়ায় এখন সবথেকে দামি জিনিস গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য। সেই তথ্য গ্রাহকের অজান্তে হাতিয়ে বিপুল টাকা রোজগার করছে এই কোম্পানিগুলি।
এর আগেও 2017 সালে ভাইরাল হয়েছিল FaceApp। তখনও এই অ্যাপ ঘিরে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল। তাই মজার ছলে FaceApp ব্যবহার করে আদতে নিজের বিপদ ডেকে আনছে না তো?
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.