Photo Credit: Unsplash/ NASA
আগামী বৃহস্পতিবার চীনের একটি সম্প্রসারণকারী সিসিটিভি এর মাধ্যমে চীনের বৈজ্ঞানিক দ্বারা এক অদ্ভুত আবিষ্কারের কথা উপস্থাপন করা হয়েছে। বিগত 2020 সালের চন্দ্রঅভিযান থেকে চাঁদের মাটি আনা হয়েছিলো। চীনের বৈজ্ঞানিকরা সেই চাঁদের মাটি ব্যাবহার করে প্রচুর পরিমানে জল উৎপাদন করতে চলেছেন।
প্রায় 44 বছরের অনুসন্ধানের পর 2020 সালে প্রথমবার চীনের বৈজ্ঞানিকরা Chang'e-5 মিশনের মাধ্যমে চাঁদের নমুনা পেয়েছিলেন। সিসিটিভি দ্বারা প্রস্তাবিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের একাডেমি অফ সায়েন্সের গবেষকরা সেই “চাঁদের মাটিতে” কিছু খনিজ পদার্থ পেয়েছেন। এই খনিজগুলি প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন দ্বারা সমৃদ্ধ। যেটি উচ্চ- তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হলে অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া করে এবং জলীয় বাষ্পও তৈরি করে।
চীনের বৈজ্ঞানিকরা দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণা এবং বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর চাঁদের মাটি ব্যাবহার করে প্রচুর পরিমাণে জল উৎপাদন করার পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন। আশা করা যাচ্ছে যে,এই তথ্যটি ভবিষ্যতে চন্দ্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র এবং মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নকশা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও চীনের দীর্ঘ প্রকল্পের দ্বারা চাঁদে স্থায়ী জায়গা নির্মাণের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে, মার্কিন -চীন প্রতিযোগিতায় এই আবিষ্কারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে NASA-র প্রধান বিল নেলসন বহুবার সতর্ক করেছেন যে চীন দ্বারা মহাকাশ কর্মসূচির দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে এবং বেজিংএর সর্বাধিক চাঁদের সম্পদযুক্ত স্থানের উপর আধিপত্যের অধিষ্ঠান আছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে, এক মেট্রিকটন চাঁদের মাটি ব্যাবহার করে, আমুনানিক 51 থেকে 76 কিলোগ্রাম পর্যন্ত জল উৎপাদন করা যেতে পারে। এটি মোটামুটি একশটি 500 মিলিলিটার জলের বোতলের সমান। এবং প্রতিদিনের 50 জনের জল ব্যবহারের সমান।
এই সমস্ত অগ্রগতি থেকে চীন আশা করছে যে, আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা কেন্দ্র (ILRS ) নির্মাণের ক্ষেত্রে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানগুলি বিশেষ ভুমিকা পালন করবে। তবে রাশিয়া এই নির্মাণে সহ - নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এছাড়াও চীনের স্পেস এজেন্সি উদ্যোগ নিয়েছেন, আগামী 2035 সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি "বেসিক স্টেশন" এবং 2045 সালের মধ্যে একটি “চাঁদের প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশন” তৈরী করবেন।
বিগত জুন মাসে Chang -e 6 থেকে আনা চাঁদের নমুনা নিয়ে গবেষণার সময় এই আবিষ্কারের কথা উপস্থাপন করা হয়।
Change-e 5 মিশনের মাধ্যমে চাঁদের খুব কাছের নমুনা সংগ্রহ করে আনা হচ্ছিল, কিন্তু সেই সময় Change -e 6 মিশনের মাধ্যমে চাঁদের দূরবর্তী অংশে কিছু মাটি পুনরুদ্ধার করা হয়। চাঁদের এই অংশটি বরাবর পৃথিবীর থেকে দূরে বিচরণ করে।
বিগত মে মাসে নাসার বিল নেলসন NRP কে বলেছিলেন যে, চাঁদের জল থেকে রকেটের জ্বালানী হিসেবে হাইড্রোজেন তৈরি করা যেতে পারে। এর ফলে পরবর্তী কর্মসূচির ক্ষেত্রে মঙ্গল গ্রহ এবং অন্যান্য আরও মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্বালানি পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন