iQOO 15 vs OnePlus 15 comparison
iQOO 15 ও OnePlus 15 লড়াইয়ের ময়দানে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। 2025 সালে সেরা পারফরম্যান্সযুক্ত স্মার্টফোনের খেতাব কে পাবে, সেই নিয়ে দুই ফ্ল্যাগশিপ মডেলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চরমে। বিশ্বের অন্যতম ফাস্টেট Snapdragon 8 Elite Gen 5 প্রসেসরের উপস্থিতি ফোনগুলিকে ফ্ল্যাগশিপ কিলারের তকমা থেকে সরাসরি প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপের পর্যায়ে উন্নীত করেছে। ভারতে উভয় ডিভাইসের বেস মডেলের দাম 72,999 টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। Android ফ্ল্যাগশিপ কিনতে চাইলে এই মুহূর্তে সেরা দুই বিকল্প হল iQOO 15 ও OnePlus 15। কিন্তু এদের মধ্যে সেরা কে? চলুন তুলনার মাধ্যমে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।
iQOO 15 ও OnePlus 15 এর মধ্যে তুলনায় আসলে পারফরম্যান্সে তফাৎ তৈরি করছে সেকেন্ডারি চিপসেট। দুই ফোনে স্ন্যাপড্রাগন 8 এলিট জেন 5 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। iQOO 15 দীর্ঘক্ষণ টানা গেমিং-এর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এর ফলে ফোনটি Q3 গেমিং চিপের সঙ্গে এসেছে। এটিি ভারী গেম খেলার সময় স্টেবল ও হাই-ফ্রেম রেট বজায় রাখতে সাহায্য করে। 8,000 স্কোয়ার মিলিমিটার ভ্যাপার চেম্বার (VC) কুলিং সিস্টেম ডিভাইসকে দ্রুত ঠান্ডা হতে সাহায্য করে।
অন্য দিকে, iQOO 15-এর বিপরীতে OnePlus 15 একটি বিস্তৃত সিস্টেম-লেভেল অপ্টিমাইজেশনের সঙ্গে এসেছে। এতে প্রধান চিপসেটের সঙ্গে আরও দু'টি বিশেষ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে — একটি টাচ রেসপন্স উন্নত করার জন্য ও অপরটি স্থিতিশীল Wi-Fi কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করে। স্মার্টফোনটি 360 ডিগ্রি ক্রায়ো-ভেলোসিটি কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
সংক্ষেপে বললে, iQOO 15 প্রধানত হাই-ইনটেন্সিটি ও স্টেবল গেমিং পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দেয়, যেখানে OnePlus 15 ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করতে সামগ্রিক দ্রুততা, নেটওয়ার্কের স্থিতিশীলতা, ও কম ল্যাটেন্সির উপর বেশি গুরুত্ব দেয়।
দুই ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই LTPO AMOLED ডিসপ্লে আছে। আইকু 15 বড় 6.88 ইঞ্চি ডিসপ্লের সঙ্গে এসেছে যা 2K রেজোলিউশন, 144Hz রিফ্রেশ রেট, ও 6,000 নিট পিক ব্রাইটনেস সাপোর্ট করে। ফলে সিনেমা বা ভিডিয়ো দেখা এবং রোদে বাইরে ব্যবহার, সবকিছুতেই ভাল দৃশ্যমানতা আসে।
ওয়ানপ্লাস 15 একটি 6.78 ইঞ্চি ডিসপ্লে প্যানেল ব্যবহার করেছে। এটি 165 হার্টজ রিফ্রেশ রেট, 1,800 নিট পিক ব্রাইটনেস, ও 1.5K রেজোলিউশন সাপোর্ট করে। এটি মূলত লো-ল্যাটেন্সি স্ক্রিন ইন্টারঅ্যাকশন এবং ফ্লুইড ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়।
iQOO 15 এর 50 মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেমে বড় প্রাইমারি সেন্সর রয়েছে। সংস্থাটি তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনে লো-লাইট ফটোগ্রাফি এবং ক্যামেরায় মুল গুণগত মান বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অন্য দিকে, OnePlus 15 মডেলেও তিনটি 50 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে যা আরও বহুমুখী। এটি ডলবি ভিশন ফরম্যাটে 4K ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। আবার এর পেরিস্কোপ টেলিফটো ক্যামেরা 3.5x অপটিক্যাল জুম সাপোর্ট করে।
OnePlus 15 ব্যাটারির ক্ষমতা ও চার্জিং স্পিডে সামান্য এগিয়ে। ফোনটিতে 120W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ 7,300mAh ব্যাটার দেওয়া হয়েছে। iQOO 15 মডেল 7,000mAh ব্যাটারি ও 100W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে।
আপনি এই দুই ফোনের মধ্যে কোনটা কিনবেন, তা সম্পূর্ণ আপনার পছন্দ ও প্রয়োজনের উপর নির্ভর করছে। যদি শুধু গেম খেলার জন্য মোবাইল কিনতে চান, তাহলে সেরা বিকল্প iQOO 15। এর 2K ডিসপ্লে, হাই-ব্রাইটনেস, আলাদা গেমিং চিপ, ও বিশাল জায়গা জুড়ে থাকা কুলিং সিস্টেম গেমারদের হতাশ করবে না।
অন্য দিকে, OnePlus 15 একটি অলরাউন্ডার ফ্ল্যাগশিপ ফোন হিসেবে কেনা যেতে পারে। এতে আরও পাওয়ারফুল ব্যাটারি, হাই-ফাস্ট চার্জিং স্পিড, উচ্চ রিফ্রেশ রেট, হাই-ফ্রেম-রেট ভিডিও, এবং অপটিক্যাল জুম সহ বহুমুখী ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.