ফেব্রুয়ারি মাসে মিডরেঞ্জ সেগমেন্টে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল Redmi Note 7 Pro। দুর্দান্ত ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসার, বিশাল ব্যাটারি সহ এই ফোন ইতিমধ্যেই ভারতবাসীর মন জয় করেছে। প্রত্যেক ফ্ল্যাশ সেলেই মুড়ি মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে এই ফোন। 15,000 টাকার নীচে শুরুতে Galaxy M30 এর সাথে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছিল Redmi Note 7 Pro। প্রায় প্রতি বিভাগেই Galaxy M30 ফোনকে হারিয়েছিল Redmi Note 7 Pro। সম্প্রতি Note 7 Pro এর সাথে প্রতিযোগিতায় ভারতে লঞ্চ হয়েছে Realme 3 Pro। এই ফোনেও রয়েছে শক্তিশালী প্রসেসার আর বিশাল ব্যাটারি।
Redmi Note সিরিজের স্মার্টফোনে এতদিন বাজার চলতি আর দশটা ফোনের মতোই ডিজাইন দেখা যেত। এই ট্রেন্ড থেকে বেরিয়ে এসেছে Redmi Note 7 Pro। এই ফোনে থাকছে প্রিমিয়াম গ্লাস বডি ডিজাইন। এক নজরে এই ফোন দেখে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মনে হবে।
Redmi Note 7 Pro এর সামনে ও পছনে সুরক্ষার জন্য রয়েছে Gorilla Glass 5। পাশে কার্ভড ডিজাইন ব্যবহারের জন্য এক হাতে এই ফোন ব্যবহারে কোনও অসুবিধা হয় না। ফোনের পিছনে থাকছে Redmi লোগো। তবে Redmi Note 7 Pro ব্যবহারের সময় খুব সহজেই ফোনের পিছনে আঙুলের ছাপ থেকে যায়। এছাড়াও ফোনের ক্যামেরা বাম্প সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া যে কোনও ফোনের থেকে বড়। তবে একটি প্রোটেক্টিভ কেস ব্যবহার করে এই দুটি সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
বাইরে দেখে Reame 3 Pro দেখতে অনেকটা Reame 2 Pro এর মতো। এক ঝলকে এই দুটি ফোনে খুব বেশি পার্থক্য দেখা যাবে না। Reame 3 Pro ফোনে রয়েছে পাতলা বেজেল, ডিসপ্লের উপরে থাকছে ওয়াটারড্রপ স্টাইল নচ।
ফোনের পিছনে থাকছে গ্রেডিয়েন্ট ফিনিশ। প্লাস্টিক দিয়ে তৈরী হয়েছে Reame 3 Pro ফোনের ব্যাক। নাইট্রো ব্লু কালার রিভিউ করেছি আমরা। এছাড়াও কার্বোণ গ্রে আর লাইটনিং পার্পেল কালারে পাওয়া যাবে Reame 3 Pro।
যে কোনও ধরনের তরল পদার্থ থেকে ফোনকে সুরক্ষিন রাখতে Redmi Note 7 Pro এ বিশেষ কোটিং ব্যবহার করেছে Xiaomi। সিম ট্রে থেকে তরল ফোনের ভিতরে ঢোকা আটকাতে বিশেষ রাবার প্যাডিং ব্যবহার হয়েছে। তবে এই ফোনে কোনও ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট সার্টিফিকেশান নেই।
ফোনের পিছনে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার আর ডুয়াল ক্যামেরা। ফোনের ডান দিকের ভলিউম বাটন একটু উপরে থাকায় ব্যবহারের সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও ফোনের ডান দিকেই রয়েছে পাওয়ার বাটন।
ফোনের বাঁ দিনে সিম ট্রে তে দুটি সিম ও একই মাইক্রো এস-ডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ফোনের উপরে থাকছে 3.5 মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক আর আইআর ব্লাস্টার। ফোনের নীচে থাকছে USB Type-C পোর্ট আর স্পিকার গ্রিল।
Note 7 Pro ফোনের সামনে থাকছে একটি 6.3 ইঞ্চি FHD+ ডিসপ্লে। ডিসপ্লের উপরে থাকছে ওয়াটারড্রপ নচ। মোটের উপরে এই দামে সবথেকে ভালো দেখতে স্মার্টফোন Redmi Note 7 Pro। ফোনের বাক্সে থাকছে একটি Redmi Note 7 Pro, একটি প্রোটেক্টিভ কেস, USB Type-C কেবেল একটি 10W চার্জার আর সিম ইজেক্টার টুল।
Reame 3 Pro ফোনে 6.3 ইঞ্চি FHD+ ডিসপ্লের উপরে থাকছে Gorilla Glass 5 এর সুরক্ষা। এই ডিসপ্লে যথেষ্ট রঙিন ও উজ্জ্বল। দিনের আলোতে Reame 3 Pro ব্যবহারে কোনও সমস্যা হয়নি। ডিসপ্লের উপরে ওয়াটার ড্রপ স্টাইল নচ এর মধ্যে থাকছে এই ফোনের সেলফি ক্যামেরা। এর উপরে কল করার ইয়ারপিস থাকছে।
Reame 3 Pro এর পিছনে থাকছে ডুয়াল ক্যামেরা আর একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার। ফোনের সাথে বাক্সের মধ্যে একটি কেস থাকলেও এই রিভিউ করার সময় Reame 3 Pro রোজকার ব্যবহারের জন্য কতটা শক্তপোক্ত তা বোঝার জন্য আমরা কোন কেস পরাইনি। মোটের উপর ঠিক থাকলেও এক সপ্তাহ ব্যবহারের পরে এই ফোনের পিছনে কয়েকটি দাগ লক্ষ্য করেছি আমরা।
Reame 3 Pro ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার ও ফেস আনলক দ্রুত কাজ করে। তবে ফোনের বাক্সের মধ্যে কোন হেডফোন থাকছে না। তবে ফোনের সাথেই এইটি ফাস্ট চার্জার দিচ্ছে Reame। Reame 3 Pro ফোনের ভিতরে রয়েছে একটি 4,045 mAh ব্যাটারি আর কোম্পানির VOOC 3.0 ফাস্ট চার্জিং (20W) সাপোর্ট।
Realme 3 Pro বনাম Redmi Note 7 Pro: স্পেসিফিকেশন ও সফটওয়্যার
Redmi Note 7 Pro তে থাকবে একটি 6.3 ইঞ্চি FHD+ ডিসপ্লে। ডিসপ্লের উপরে থাকছে ছোট নচ। ফোনের ভিতরে থাকছে Snapdragon 675 চিপসেট, 6GB পর্যন্ত RAM আর 128GB পর্যন্ত স্টোরেজ।
ছবি তোলার জন্য Redmi Note 7 Pro তে থাকছে ডুয়াল ক্যামেরা সেট আপ। প্রাইমারি ক্যামেরায় থাকছে 48 মেগাপিক্সেল সেন্সর। সাথে থাকছে একটি 5 মেগাপিক্সেল ডেপ্ত সেন্সর। সেলফি তোলার জন্য একটি 13 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করেছে Xiaomi। সব ক্যামেরাতেই থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট।
Realme 3 Pro তে থাকছে একটি 6.3 ইঞ্চি FHD+ ডিসপ্লে। ফোনের ভিতরে থাকছে Snapdragon 710 চিপসেট, 4GB/6GB RAM আর 64GB/128GB স্টোরেজ।
Realme 3 Pro ফোনের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরায় থাকছে 16 মেগাপিক্সেল IMX519 প্রাইমারি সেন্সার। সাথে থাকছে 5 মেগাপিক্সেল ডেপ্ত সেন্সার। সেলফি তোলার জন্য Realme 3 Pro তে থাকছে একটি ব25 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। Realme 3 Pro ক্যামেরায় 960 ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড স্পিডে সুপার স্লো মোশান ভিডিও তোলা যাবে। 64 মেগাপিক্সেল ছবি তোলার জন্য থাকছে Ulltra HD মোড আর কম আলোতে উজ্জ্বল ছবি তোলার জন্য থাকছে বিশেষ নাইট মোড।
Realme 3 Pro ফোনের পিছনে থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার। কানেক্টিভিটির জন্য Realme 3 Pro তে রয়েছে Bluetooth 5.0, 4G LTE, Wi-Fi 802.11ac (2.4GHz+5GHz) আর 3.5 মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক। ফোনের ভিতরে থাকছে 4,045 mAh ব্যাটারি। জলদি চার্জ করার জন্য থাকছে VOOC 3.0 ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট। Realme 3 Pro এর ওজন 172 গ্রাম।
Android 9 Pie অপারেটিং সিস্টেমের উপরেই Redmi Note 7 Pro ফোনে চলবে কোম্পানির নিজস্ব MIUI 10 স্কিন। থাকছে একটি 4,000 mAh ব্যাটারি আর ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট।
ডুয়াল সিম Realme 3 Pro তে Android Pie অপারেটিং সিস্টেমের উপরে চলবে কোম্পানির ColorOS 6.0 স্কিন। এই ফোনে থাকছে মার্চ মাসের অ্যানড্রয়েড সিকিউরিটি প্যাচ।
Redmi Note 7 Pro ফোনের ভিতরে থাকছে শক্তিশালী Snapdragon 675 চিপসেট। এই ফোন ব্যবহারের সময় পারফর্মেন্সে কোনও সমস্যা হয়নি আমাদের। একসাথে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহারেও স্লো হয়নি এই ফোন। একসাথে 10-12 টি অ্যাপ ওপেন থাকলেও খুব সহজেই একটি অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যাওয়া যায়।
ক্যাসুয়াল গেমিং এর জন্য আদর্শ Redmi Note 7 Pro। PUBG Mobile ও Asphalt 9: Legends এর মতো ভারি গেমগুলিও হাই গ্রাফিক্সে চলেছে। তবে মাঝে মধ্যে ফ্রেম ড্রপ চোখে পরেছে। তমে মিডিয়াম গ্রাফিক্সে গেম খেললে এই সস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দৈনিক ব্যবহারের সময় কোন সমস্যা না হলেও এক টানা এক ঘন্টা PUBG Mobile খেললে অবিশ্বাস্য গরম হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সারের আশেপাশে বেশি গরম হচ্ছে এই ফোন। গেম বন্ধ করে কিছু সময় রেখে দিলে তবে ঠান্ডা হচ্ছে ফোন। আশা করছি সফটওয়্যার আপডেটে এই সমস্যার সমাধান করবে Xiaomi।
AnTuTu Benchmark এ 178,570 স্কোর করেছে Redmi Note 7 Pro। Geekbench এ সিঙ্গেল কোরে Redmi Note 7 Pro পেয়েছে 2,389, আর মাল্টিকোরে পেয়েছে 6,593।
ফোন কল করার সময় Redmi Note 7 Pro ফোনে কোনও অসুবিধা হয় না। দ্রুত কাজ করে এই ফোনের পিছনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সার। দ্রুত কাজ করে এই ফোনের ফেস আনলক।
Realme 3 Pro ফোনে রোজকার কাজ খুব সহজেই করা গিয়েছে। মাল্টিটাস্কিং এও কোন সমস্যা হয়নি। রিভিউ ইউনিটে পুরনো ফার্মওয়্যার থাকলেও রিটেল ইউনিটে নতুন সফটওয়্যার থাকবে বলে জানিয়েছে Realme।
Realme 3 Pro ফোনে থাকছে Widevine L1 DRM সাপোর্ট। অর্থাৎ Reame 3 Pro ফোনে Netflix, Amazon Prime Video ও Hotstar এর মতো স্ট্রিমিং অ্যাপ থেকে হাই ডেফিনেশান স্ট্রিম করা যাবে। এছাড়াও Reame জানিয়েছে ফাইনাল সফটওয়্যারে থাকবে 960 ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড স্পিডে ভিডিও রেকর্ডিং আর ভালো বোকে মোড।
ভিডিও দেখার সময় Realme 3 Pro ফোনের ডিসপ্লে বেশ উজ্জ্বল ও রঙিন মনে হয়েছে। একটি মাত্র স্পিকারে বেশ জোরে আওয়াজ হয়। প্রো মডেল হওয়ার জন্য এই ফোনে USB Type C পোর্ট আশা করলেও Reame 3 Pro তে থাকছে পুরনো Micro USB পোর্ট।
PUBG Mobile হাই গ্রাফিক্স সেটিংস এ খেলা যাবে এই ফোনে। PUBG Mobile খেলার সময় কোন ফ্রেম ড্রপ বা ল্যাগ চোখে পড়েনি। মসৃণ ভাবে চলেছে Asphalt 9: Legends এর মতো হেভি গ্রাফিক্স গেম। বেশি সময় ধরে গেম খেললে এই ফোন খুব বেশি গরম হয় না।
ভালো পারফর্মেন্সের সাথেই Redmi Note 7 Pro ফোনে ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পেয়েছি আমরা। গোটা দিন এই ফোন ব্যবহারের পরেও দিনের শেষে 15-20 শতাংশ চার্জ বাকি ছিল এই ফোনে। 30 মিনিট PUBG Mobile খেলার পরে 12 শতাংশ চার্জ করেছে এই ফোনে। আমাদের HD ভিডিও লুপ টেস্টে 19 ঘন্টা 23 মিনিট চলেছে এই ফোন।
Quick Charge 4.0 সাপোর্ট থাকলেও Redmi Note 7 Pro বাক্সের সাথে সাধারন 10W চার্জার দিয়েছে Xiaomi। বাক্সের সাথে থাকা চার্জার ব্যবহার করে 54 মিনিটে 50 শতাংশ চার্জ হয়েছে এই ফোন। 100 শতাংশ চার্জ হতে হময় লেগেছে 2 ঘন্টা 14 মিনিট।
Reame 3 Pro ফোনের 4,045 mAh ব্যাটারির মাধ্যমে খুব সহজেই গোটা দিন এই ফোন ব্যবহার করা গিয়েছে। আমাদের HD ভিডিও লুপ টেস্টে 14 ঘন্টা 13 মিনিট চলেছে Reame 3 Pro।
Reame 3 Pro ফোনে থাকছে VOOC 3.0 ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। এই ফোনের বাক্সের মধ্যে থাকা চার্জার থেকে এক ঘন্টায় 0 থেকে 90 শতাংশ চার্জ হয় Reame 3 Pro ফোনের ব্যাটারি।
Redmi Note 7 Pro এর অন্যতম প্রধান আকর্ষন এই ফোনের ক্যামেরা। লঞ্চের সময় Redmi Note 7 Pro ফোনে তোলা ছবির সাথে iPhone XS Max এ তোলা ছবির তুলনা করেছিল Xiaomi। এই ফোনে রয়েছে একটি 48 মেগাপিক্সেল f/1.79 অ্যাপারচার আর 1.6μm পিক্সেল সাইজের Sony IMX586 প্রিমারি সেন্সার। সাথে থাকছে একটি 5 মেগাপিক্সেল ডেপ্ত সেন্সার। থাকছে এআই পোট্রেট মোড, এআই স্টুডিও লাইটিং, এআই ডাইনামিক বোকে, স্লো-মো ভিডিও রেকর্ডিং আর 4K ভিডিও রেকর্ডিং ফিচার। ফোনের সামনে থাকছে 13 মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাতেও থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সাপোর্ট।
মিডরেঞ্জ সেগমেন্টে স্মার্টফোন ফোটোগ্রাফিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে Redmi Note 7 Pro। এই ক্যামেরায় তোলা ছবিতে খুব ভালো ডিটেল, ডাইনামিক রেঞ্জ ড় ভাইব্রেন্সি পাওয়া যাবে। অটো মোডে এই ফোনেওর ক্যামেরায় 12 মেগাপিক্সেল ছবি উঠবে। চারটি পিক্সেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে 48 মেগাপিক্সেল সেন্সার থেকে 12 মেগাপিক্সেল ছবি তুলবে Redmi Note 7 Pro। এর ফলে সেন্সারে আরও বেশি আলো পৌঁছাবে। যার ফলে ছবিতে ডিটেল বাড়বে। তবে ম্যানুয়াল মোডে গিয়ে 48 মেগাপিক্সেল ছবি তোলা যাবে।
কম আলোতেও দারুন ছবি তোলে Redmi Note 7 Pro এর ক্যামেরা। কম আলোতে ছবি তোলার জন্য এই ফোনে বিশেষ নাইট মোড রয়েছে। এই মোডে তোলা ছবিউতে ভালো ডিটেল ও ডাইনামিক রেঞ্জ পাওয়া গিয়েছে।
Redmi Note 7 Pro এর 13 মেগাপিক্সেল সেলফি কায়মেরায় শার্প সেলফি তোলা যাবে। থাকছে ভালো ডাইনামিক রেঞ্জ।
Redmi Note 7 Pro রিয়ার ক্যামেরায় 60 ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড স্পিডে Full HD ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। 4K ভিডিও রেকর্ড করার সমর ফ্রেম রেড করে 30 ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড হবে। এছাড়াও 120 ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড স্পিডে স্লো-মো ভিডিও রেকর্ড করতে পারে এই স্মার্টফোন।
Redmi Note 7 Pro এর মতো 48 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার না হলেও Reame 3 Pro তে থাকছে 16 মেগাপিক্সেল Sony IMX519 সেন্সার। সাথে থাকছে f/1.7 অ্যাপারচার। OnePlus 6T ফোনে একই সেন্সার ব্যবহার হয়েছিল। সাথে পোট্রেট মোডের জন্য থাকছে একটি 5 মেগাপিক্সেল ডেপ্ত সেন্সার।
দিনের আলোতে ল্যান্ডস্কেপ মোডে Reame 3 Pro ক্যামেরায় দারুন ডিটেল পাওয়া গিয়েছে। তবে এই ক্যামেরায় শার্পনেসে ঘাটতি চোখে পরেছে। ম্যাক্রো শটেও দারুন ডিটেল পাওয়া গিয়েছে। ফোনের AI সিন ডিটেকশান মোড খুব সহজেই ফোনের সামনে থাকা ফুল চিনতে পেরেছে।
কম আলোতে শাটার স্পিড কমিয়ে ছবি তোলে Reame 3 Pro ফোনের ক্যামেরা। এর ফলে খুব সহজেই রাতে ছবিতে ব্লার দেখা যাবে। তবে নাইট স্কেপ মোডে কম আলোতে আরও ভালো ছবি তোলা যাবে। এই মোডে কম আলোতে Reame 3 Pro ফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবিতে ভালো শার্পনেস ও ডিটেল পাওয়া যাবে। ফোনের 5 মেগাপিক্সেল ডেপ্ত সেন্সারের মাধ্যমে কম আলোতেও আমরা ভালো বোকে এফেক্ট পেয়েছি।
Realme 3 Pro ফোনে রয়েছে 25 মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। দিনের আলোতে এই ক্যামেরায় দারুন ছবি ওঠে। আলোর বিপরীতে HDR মোডে দারুন কাজ করে Reame 3 Pro ফোনের সেলফি ক্যামেরা। তবে কম আলোতে এই ক্যামেরায় তোলা ছবিতে বেশি নয়েজ চোখে পরেছে। এছাড়াও ডেপ্ত এর অভাগ দেখা গিয়েছে কল আলোতে ফ্রন্ট ক্যামেরা তোলা ছবিতে।
Reame 3 Pro ক্যামেরায় 4K ভিডিও তোলা যায়। তবে এই মোডে কোন স্টেবিলাইজেশান থাকছে না। তবে 1080p মোডে তোলা ভিডিওরে স্টেবিলাইজেশান থাকছে। ক্যামেরা অ্যাপের সাধারন ডিজাইন ব্যবহারে কোন অসুবিধা হয়নি আমাদের।
দামের প্রতি সুবিচার করে Redmi Note 7 Pro আর Realme 3 Pro। দুটি ফোনেই রয়েছে শক্তিশালী প্রসেসার, বিশাল ব্যাটারি আর দুর্দান্ত ক্যামেরা। বেঞ্জমার্কে Redmi Note 7 Pro জিতলেও গেম খেলার সময় Realme 3 Pro ফোনে হাই সেটিংস রাখা যাবে। তাই গেম খেলা যদি হয় প্রধান লক্ষ্য Realme 3 Pro কিনে আপনি বেশি আনন্দ পাবেন। তবে Redmi Note 7 Pro ফোনে পাবেন প্রিমিয়াম গ্লাস ব্যাক। অন্যদিকে Realme 3 Pro ফোনে ব্যবহার হয়েছে প্লাস্টিক ব্যাক। এছাড়াও Realme 3 Pro ফোনে থাকছে Micro USB পোর্ট, অন্যদিকে Redmi Note 7 Pro ফোনে থাকছে বেশি স্পিডের USB Type-C পোর্ট।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন