‘ট্রেন্ডিং নিউজ’সেকশানটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক। চার বছর আগে এই সেকশান চালু করেছিল এই সোশাল মিডিয়া সার্ভিস। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এমনটাই জানিয়েছেন ফেসবুকের এক প্রতিনিধি।
ফেসবুক জানিয়েছে ‘ট্রেন্ডিং নিউজ’ টুলটি অনেক পুরনো। আর তাই গ্রাহকদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে এই টুল। এছাড়াও অনেক সময় ভুল খবর দেখানো হয় এই সেকশানে। আর মানুষের এই জটিল জীবনের বিভিন্ন খবর ঠিকভাবে দেখাতে পারছে না কম্পিউটারে তৈরী এই টুল। এই সব কারনের জন্যই এই টুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিটি।
2014 সালে নিউজ ফিডের দান দিকে প্রথম এইফিচার লঞ্চ করেছিল ফেসবুক। এই টুল লঞ্চের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এক ঝলকে গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি জানানো। আগে শুধুমাত্র টুইটারে এই ফিচার পাওয়া যেত। মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুককে ‘খবরের কাগজ’ করে তোলার স্বপ্নে এই টূল এক বড় ভুমিকা নিয়েছিল। এরপরে বিশ্বকাপ, ইবোলা, ও রবিন উইলিয়ামস নিয়ে একাধিক ভুল খবর প্রকাশ করে বিশ্বাসযোগ্যতা হারা এই টুল।
এবার নতুন ‘ব্রেকিং নিউজ’ টুল নিয়ে আসতে চলেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে পাবলিশাররা নিজেদের খবর যোগ করতে পারবেন। এছাড়াও বিশ্বের খবরের পরিবর্তে স্থানীয় খবরে বেশী জোড় দিতে চায় ফেসবুক।
ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ‘ট্রেন্ডিং নিউজ’ টুল বন্ধ হয়ে গেলেও গ্রাহকদের লেটেস্ট খবরের আপডেট দিতে থাকবে ফেসবুক। তবে কম্পিউটারের পরিবর্তে এবার মানুষ এই খব বাছার কাজ করবে। পিউ রিসার্জ সেন্টারের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় 44% মানুষ ফেসবুক থেকেই দিনের সব খবর পান।
ট্রেন্ডিং সেকশানে প্রথম সমস্যা শুরু হয় 2016 সালে। কনজারভেটিভ দের প্রতি বেশি নরম মনোভাগের খবর করার অভিযোগ উঠেছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে। পরে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দক্ষিণ পন্থী নেতাদের সাথে আলোচনায় বসেন মার্ক জুকারবার্গ। এরপর 2016 সালের শেষে এই টিমের এডিটরিয়াল সেগমেন্টের সব কর্মীকে ছাঁটাই করে কম্পিউটারের মাধ্যমে খব প্রকাশ শুরু করে ফেসবুক। এর ফলে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্তের সম্ভাবনা কমার কথা আশা করেছিল। কিন্তু কম্পিউটার শুধুমাত্র জনপ্রিয় খবগুলি প্রকাশ করা শুরু করে। এমনকি অনেক মানে বিহীন খব প্রকাশিত হতে শুরু হয় ফেসবুকে। 2017 সালে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল ফেসবুক। কিন্তু এর পরেও একাধিক ভুল খবর প্রকাশিত হয়েছে ফেসবুকের এই টুলে। এরপর এই টুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।
কোম্পানি জানিয়েছে কখনই জনপ্রিয় হয়নি ফেসবুকের এই ফিচার। মাত্র 5 টি দেশে লঞ্চ হয়েছিল ফেসবুকের এই ফিচারটি। এর মধ্যে মাত্র 1.5% মানুষ এই ফিচারে ফ্লিক করছেন বলে ফেসবুক জানিয়েছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন