Nano Banana Pro solves and writes math answer in exact handwriting
Photo Credit: Unsplash/Steve Johnson
অঙ্কে ভয় নেই এমন ছাত্র খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অন্য বিষয়ে প্রশ্ন করলে নিমেষে উত্তর আর অঙ্ক কষতে দিলে কিছুক্ষণ মুখ কাঁচুমাচু করা — ছোটবেলায় আমরা প্রায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। তখন ইন্টারনেট সহজলভ্য না হওয়ার ফলে গুগলের সাহায্য নেওয়ারও সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সে সব অতীত। অঙ্কের যে কোনও সমস্যা Gemini বা ChatGPT-এর মতো AI চ্যাটবটের সামনে রাখুন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সমাধান হাজির। Gemini 3 Pro-এর উপর ভিত্তি করে গত সপ্তাহে লঞ্চ করা Nano Banana Pro কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে গাণিতিক সমস্যা সমধানের ক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। একজন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে গুগলের নতুন ইমেজ জেনারেশন ও এডিটিং মডেলকে দিয়ে গণিতের প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
পুণের এক ব্যক্তি নিজের হাতে লেখা একটি গণিতের প্রশ্নের ছবি Gemini অ্যাপে আপলোড করে একটি অভিনব পরীক্ষা করেন। অবাক করার মতো বিষয় হল, ন্যানো ব্যানানা প্রো AI টুলটি সম্পূর্ণ নির্ভুল উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি, ওই ব্যক্তির হাতের লেখা হুবহু নকল করে সাদা কাগজের মতো পৃষ্ঠায় অঙ্কের সমাধান করেছে। তিনি X প্ল্যাটফর্মে মূল প্রশ্ন এবং AI-এর উত্তরের ছবি পাশাপাশি রেখে পোস্ট করেছেন। দুই লেখার মধ্যে কোনও তফাৎ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ AI-এর লেখা উত্তর এতটাই আসল এবং বাস্তবিক মনে হচ্ছিল যে, অঙ্কের সমাধান মানুষের হাতে করা নয় বললে বিশ্বাস করা মুশকিল।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই প্রচুর দাবি করে থাকেন। কিন্তু তার মধ্যে বেশিরভাগ ভুয়ো হয়। তাই Gadgets 360 বাংলা তাদের নিয়মিত পাঠকদের মধ্যে একজনের হাতে লেখা গণিতের প্রশ্ন ছবি ন্যানো ব্যানানা প্রো-কে দিয়ে সমাধান করেছে। বিস্ময়ের বিষয়, উত্তর যেমন নির্ভুল পাওয়া গিয়েছে, তেমনই হাতের লেখাও প্রায় এক। অর্থাৎ, প্রশ্ন চেনার পাশাপাশি, হাতের লেখাও বুঝে অনুকরণ করতে পারছে গুগলের নতুন টুল। নিঃসন্দেহে, ফিচারটি পড়ুয়াদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ শুরু হয়েছে।
Photo Credit: Tubai Mondal
X-এর ভাইরাল হওয়া পোস্টটিকে ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ একজন মন্তব্য করেছেন, "এভাবে চললে পড়ুয়ারা আর কিছুই শিখবে না, সব হোমওয়ার্ক শুধু AI দিয়ে করাবে।" আর একজন ব্যক্তির বক্তব্য, "প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর প্রয়োজন, নাহলে শিক্ষার অর্থ থাকবে না। মানুষ শেখে যাতে পেশাদার তৈরি হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে পেশাদার দক্ষতা সহজলভ্য হলে শেখা মূল্যহীন হয়ে পড়বে।"
যদিও AI-এর সপক্ষেও যুক্তি দিচ্ছেন অনেকে৷ এক ইউজার লিখেছেন, "যদি আমার সময়ে এমন প্রযুক্তি থাকত, তাহলে স্কুল-কলেজের অনেক বিষয় সহজে শিখতে ও বুঝতে পারতাম।" Gadgets 360 নিজেও মনে করে, এই ধরনের টুল ছাত্রছাত্রীদের গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। কিন্তু এটা কখনই শেখার বিকল্প হতে পারে না। প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে থাকলে ব্যক্তিগত উন্নয়ন থমকে যাবে। তাই AI-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের বোঝার-শেখার ক্ষমতার অগ্রগতি সমাজের জন্য ইতিবাচক।
প্রসঙ্গত, ন্যানো ব্যানানা প্রো গুগলের সবচেয়ে উন্নত AI ছবি তৈরি ও এডিট করার মডেল। এটি ব্যবহারের জন্য কোনও এডিটিং দক্ষতার প্রয়োজন নেই, ঠিকমতো প্রম্পট বা নির্দেশ লিখলেই কাজ হাসিল। মডেলটি 2K ও 4K রেজোলিউশনে ছবি বানাতে পারে। প্রতিটি ছবি আসল ও জীবন্ত মনে হবে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.