ভুমিকম্পেরর ভবিষ্যৎবানী করা সম্ভব না। কিন্তু ভুমিকম্পের আফটারশকের পূর্বাভাষ দেওয়ার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তি সামনে এলো।
সাধারণত বড় ভুমিকম্পের পরেই আসে এই ছোট ভুমিকম্পগুলি। এতে বড় ভুমিকম্পের থেকেও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর ফলে এই পরের ছোট ভুমিকম্পের পূর্বাভাষ পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সিসমোলজিস্টরা কবে কত জোড়ে আফটারশক আসবে তার পূর্বাভাষ দিতে পারলেও ঠিক কোথায় তা আসবে তা জানা যায়না। এর পরেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে এক দল বিজ্ঞানী কোথায় আফটারশক আসবে তা জানার চেষ্টা শুরু করেন।
“আগে মোট তথ্যে তিন শতাংশ সঠিকভাবে জানা যেত। নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করা ছয় সতাংশ সঠিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়েছে।” বলে জানিয়েছেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক।
এই কাজে ডিপ লার্নিং নামে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের মাথা যেভাবে কাজ করে একই পদ্ধতিতে কাজ করে এই ডিপ লার্নিং টেকনোলজি।
শুরুতে মোট তথ্যের এক চতুর্থাংশ দিয়ে এই কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। পরে ধীরে ধীরে আরও নতুন তথ্য দেওয়া শুরু হয় এই নেটওয়ার্কে। এরপরে এই তথ্য থেকে কত ভালো ভাবে ভুমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তা খোঁজার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। আগে মাত্র তিন শতাংশ আফটারশকের স্থান সঠিক ভাবে জানা যেত। নতুন এই টেকনোলজি ব্যবহার করে ছয় শতাংশ ক্ষেত্রে নিখুঁতভারে আফটারশকের স্থানের পূর্বাভাষ পাওয়া গিয়েছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন