মার্কিন সেনাবাহিনী গুগুলের ক্লাউড বিভাগকে প্রোজেক্ট মাভেনে কাজের অনুমতি দেয়। এই প্রোজেক্টেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব দ্রোন ওড়ার প্রযুক্তি তৈরী হয়
Photo Credit: Bloomberg photo by David Paul Morris
সুন্দর পিচাই এর প্রধান লক্ষ্য গুগুলকে “আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রধান কোম্পানি” করে তোলা
গত বছর জুলাই মাসে মিটিং এ বসেছিলেন 13 জন মার্কিং কমান্ডার ও টেকনোলজি এক্সিকিউটিভরা। গুগুলের হেডকোয়াটার থেকে মাত্র দুই মেইল দূরে পেন্টাগনের সিলিকন ভ্যালির আউটপোস্টে এই মিটিং হয়েছিল। এটি ছিল 2016 সালের দ্বিতীয় বৈঠক। যুদ্ধক্ষেত্রে নানা ভাবে টেকনোলজিকে ব্যাবহারের জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। গুগুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলো মেডিন সেই বৈঠকে জানিয়েছিলেন কীভাবে যুদ্ধের গেমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যাবহার হয়। এছাড়াও গুগুলের প্রাক্তন বস এরিক স্মিদট আগামি ২০ বছরে চীনের বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধকৌশল তৈরী করা উচিত তা জানিয়েছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীকে।
এর কয়েকমাস পরেই মার্কিন সেনাবাহিনী গুগুলের ক্লাউড বিভাগকে প্রোজেক্ট মাভেনে কাজ করার অনুমতি দেয়। এই প্রোজেক্টেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব দ্রোন ওড়ার প্রযুক্তি তৈরী হয়।
আর যুদ্ধিক্ষেত্রে কোম্পানির টেকনোলজি ব্যাবহারের ফলেই মন খারাপ হয়েছে কোম্পানির কর্মীদের। এই প্রজেক্ট কোম্পানিকে বিশাল লাভের মুখ দেখালেও কর্মীরা একেবারেই খুশি নন যুদ্ধের জন্য কাজ করতে। কোম্পানির মোট 85,500 কর্মীর মধ্যে 4,000 কর্মী ইতিমধ্যেই সুন্দর পিচাই কে চিঠি লিখে নিজেদের প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন। কোম্পানির সিইও কে “যুদ্ধ ব্যাবসা” থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে এই চিঠিতে।
আগে কোম্পানির স্লোগান ছিল “ডু নো এভিল”। অর্থাৎ কোন খারাপ কাজে যুক্ত হবে না কোম্পানি। আর সেই কথাকেই উদ্ধৃত করে এই পিটিশান জমা দিয়েছেন কোম্পানির 4,000 কর্মী। যদ্ধক্ষেত্রে এই অটোনোমাস কিলিং মেশিন তৈরী হলে তার ফন খুবই খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গুগুল কর্মীরা। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ডজনের বেশি কর্মী ইতিমধ্যেই কোম্পানি ছেড়েছেন।
কোম্পানির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা এখন সুন্দর পিচাই এর কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। গত এক দশকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং এ সবথেকে বেশি টাকা লগ্নি করেছে গুগুল। আর এখন সেই লগ্নির ফল পেতে শুরু করেছে মার্কিন কোম্পানিটি। সরকারের সাথে বিভিন্ন চুক্তিতে বিশাল লাভের সম্ভাবনা দেখছে গুগুল। আর সরকারে সবথেকে বেশি টাকা খরচ হয় প্রতিরক্ষা বিভাগে।
গুগুলের প্রধান লক্ষ্য “আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রধান কোম্পানি” হয়েব ওঠা। এই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন পিচাই। আর সেই পথে যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তি না বানালেন বিশাল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে আমেরিকার টেক জায়েন্ট কোম্পানিকে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
The Offering Is Streaming Now: Know Where to Watch the Supernatural Horror Online
Lazarus Is Now Streaming on Prime Video: Know All About Harlan Coben's Horror Thriller Series