মঙ্গলপৃষ্ঠের নীচে রয়েছে নোনা জন। এই জলে প্রানের জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন রয়েছে। পৃথিবিতেও কয়েক কোটি বছর আগে এই ভাবেই প্রাণের সুচনা হয়েছিল। সোমবার এক গবেষণা রিপোর্টে এই কথা জানানো হয়েছে।
কিছু জায়গায় এই অক্সিজেন ইতিমধ্যেই প্রাণের সৃষ্টি করেছে বলে জানানো হয়েছে। এই গবেষনা পত্রে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই মঙ্গলে স্পঞ্জের মতো প্রাণের অস্বিত্ব থাকতে পারে।
“মঙ্গলে জীবাণু বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমান অক্সিজেন রয়েছে।” বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রোপালশান গবেষনাগারের পদার্থবিদ ভ্লাদা স্টামেঙ্কোভিচ।
“এই আবিষ্কার মঙ্গলে প্রাণ সম্পর্কে আমাদের ধারনা সম্পূর্ণ বদলে দেবে।” চলে জানিয়েছেন স্টামেঙ্কোভিচ।
এতদিন মনে করা হত মঙ্গলে যে পরিমান অক্সিজেন রয়েছে তা জীবাণু বেঁচে থাকার অন্য যথেষ্ট নয়। “মঙ্গলে প্রাণের জন্য যে যথেষ্ট অক্সিজেল রয়েছে তা আমরা আগে জানতাম না। মঙ্গল বায়ুমন্ডলের 0.14 শতাংশ অক্সিজেন।” বলে জানিয়েছেন ভ্লাদা।
পৃথিবীতে বিভিন্ন জীব সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে কার্বোণ-ডাই-অক্সাইড গ্যাসকে অক্সিজেনে পরিণত করে। এর ফলেই 2.35 বিলিয়ান বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার শুরু হয়।
পৃথিবীতে সমূদ্রের নীচে, ফুটন্ত উষ্ণ প্রস্রবণের মতো জায়গায় প্রথম প্রাণের সূচনা হয়েছিল। তাই মঙ্গলেও এই সব জায়গাতেই প্রথম প্রাণ খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।
নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভারের হাত ধরে এই গবেষণা প্রথম শুরু হয়েছিল। ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড থেকে প্রথম এই গবেষণা শুরু হয়। এই কেমিকাল কম্পাউনন্ড অনেক অক্সিজেন তৈরীর করতে পারে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন