আবার মারাত্মক অভিযোগ উঠলো ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ফেসবুক তাদের গ্রাহকদের ব্যাক্তিগত তথ্য স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপেল, স্যামসাং এর মতো কোম্পানিরগুলিকে দিয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক রিপোর্টে এই মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি বহু আগে যখন ফেসবুকের অ্যাপ তেমন জনপ্রিয় ছিল না তখন থেকেই এই ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সাথে ডাটা শেরারিং এর চুক্তি ছিল ফেসবুকের। এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে এখনও সেই চুক্তির বেশিরভাগই কার্যকরী রয়েছে।
এই রিপোর্টের ফলেই আবার ফেসবুকের প্রাইভেসি নিয়ে বিশাল প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় বহু গ্রাহক ঘারিয়েছে ফেসবুক। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে কোম্পানিকে অস্বস্তিতে ফেলবে।
আর এই ডাটা শেয়ারিং এর ফলেই ইউএস ফেডারাল ট্রেড কমিশানের আইন ভং করেছে ফেসবুক। যদিও ফেসবুকের দাবি এই আইন ভাঙেন নি তারা। এছাড়াও ফেসবুকের তরফ থেকে এমন কোন খবরের সত্যতা আস্বীকার করা হয়েছে। এমনটার জানা গিয়েছে এই রিপোর্ট থেকে।
তবে এই পার্টনারশিপে কোন ডাটা দেওয়া হবে তা ঠিক করে দিত ফেসবুক। যে তথ্য পার্টনারের সার্ভারে স্টোর হতো সেই ডাটা শেয়ার হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুক আরও জানিয়েছে এই ডাটা কোনভাবে অপব্যবহার হইয়েছে বলে তাদের জানা নেই।
“অ্যাপ ডেভেলপারদের সাথে আমাদের পার্টনারশিপের সাথে এই পার্টনারশিপের অনেক পার্থক্য রয়েছে।” বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমি আর্চিবং।
সম্প্রতি কেমব্রিজ ডাটা স্ক্যান্ডালে জর্জরিত ফেসবুক। বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের মধ্যেই ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু কোরেছে এই সোশাল মিডিয়া জায়েন্ট। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে মার্কিন মুলুকে বিপুল হারে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কমছে। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে রেডিট ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি। গত সপ্তাহেই আমেরিকায় ফেসবুককে ছাপিয়ে গিয়েছে রেডিট। আর সেই সময়ে নিউ ইউর্ক টাইমসে প্রকাশিত নতুন এই রিপোর্টের ফলে আবার গ্রাহকদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে সিলিকন ভ্যালির এই কোম্পানিটি। ব্যাক্তিগত তথ্যের মতো সংবেদনশীল তথ্য অন্য কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়াকে গ্রাহকরা কীভাবে নেন সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন