করোনাভাইরাস গবেষণায় নিজের কম্পিউটারটি বিজ্ঞানীদের ব্যবহার করতে দিতে পারেন
বিশ্বব্যাপী পার্সোনাল কম্পিউটারকে একসঙ্গে ব্যবহার করে সুপারকম্পিউটার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এই সুপারকম্পিউটারেই হবে করোনাভাইরাসের গবেষণা। Folding@Home নামের এই ক্রাউডসোর্স টুল ব্যবহার করে যে কোন ব্যক্তি নিজের কম্পিউটারের অতিরিক্ত প্রসেসিং শক্তিকে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণায় ব্যবহার করতে দিতে পারেন। তবে শুধুমাত্র COVID 19 নয়, এই ক্রাউডসোর্স টুল ব্যবহার করে ক্যান্সার, পার্কিনসন্স, আল্জ্হেইমের মতো রোগের গবেষণাও করেন বিজ্ঞানীরা। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রথম এই ক্রাউডসোর্স টুল নিয়ে এসেছিলেন।
Folding@Home ব্যবহার করে ঘরে বসে করোনাভাইরাস গবেষণার জন্য নিজের কম্পিউটারের CPU ও GPU বিজ্ঞানীদের ব্যবহার করতে দিতে পারেন। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের বিপুল পরিমাণ সচেতন নাগরিক Folding@Home ব্যবহার করে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করছেন। ইতিমধ্যেই একটি exaFLOP কম্পিউটিং পাওয়ার পাওয়া গিয়েছে। এক exaFLOP কম্পিউটিং পাওয়ারে এক সেকেন্ডে একশো কোটি অপারেশন করা সম্ভব। যা এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার IBM Summit এর থেকে থেকে দশ গুণ বেশি শক্তিশালী। বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী 103 টা সুপারকম্পিউটার একত্রিত করলে যে পরিমাণ শক্তি পাওয়া সম্ভব সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ Folding@Home ব্যবহার করে পার্সোনাল কম্পিউটারের CPU ও GPU ভাগ করে নিয়ে সেই পরিমাণ কম্পিউটিং শক্তি তৈরি শুরু করেছেন।
গত সপ্তাহে 470 PetaFLOPS কম্পিউটিং শক্তি তৈরি করেছিল Folding@Home। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরে এই ক্রাউডসোর্সিং টুলের ব্যবহার 1200 শতাংশ বেড়েছে। Forbes -এ প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে বিশ্বব্যাপী 4,00,000 মানুষ নিজের CPU ও GPU শেয়ার করার পরে 470 PetaFLOPS শক্তি পাওয়া গিয়েছে।
সুযোগ বুঝে COVID-19 -এর নামে বাড়ছে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা
নিজের কম্পিউটারে Folding@Home ইন্সটল করে বিজ্ঞানীদের ব্যবহারের জন্য নিজের CPU ও GPU শেয়ার করা যাবে।
প্রয়োজনে নিজের পরিচয় গোপন রেখে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লগ ইন করে এই অ্যাপ ব্যবহার করলে মিলবে বিশেষ রিওওয়ার্ড পয়েন্ট।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.