নববর্ষের প্রাক্কালে নয়ডার সেক্টর 143 এর বাসিন্দা 11 বছর বয়সী সাইশা একটি লোভনীয় ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক খেতে চেয়েছিল। এর পরে Swiggy ওপেন করে কাছাকাছি সব দোকানের কেকের মেনু দেখে অবশেষে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। অর্ডার করার 30 মিনিট পরে Swiggy-র তরফ থেকে একটি টেলিফোন আসে। ফোনের ওপারে কোম্পানির প্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে দোকান থেকে অর্ডার করা হয়েছে সেই দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিক ডেলিভারি বয় দোকানের লোকেশনে পৌঁছেও নির্দিষ্ট দোকান খুঁজে পাননি। এর পরে কোম্পানির প্রতিনিধির তরফ থেকে অর্ডার বাতিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
একই পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কয়েক মাস আগে Swiggy তে রাতের খাবার অর্ডার করার পর ডেলিভারি বয় সেখানে পৌঁছে ফোনে জানিয়েছিলেন দোকান বন্ধ থাকার কারণে ডেলিভারি সম্ভব নয়। অর্ডার বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছিল।
দোকান যদি বন্ধ থাকে কীভাবে খাবার ডেলিভারি অ্যাপে অর্ডার করা সম্ভব? ডেলিভারি বয় দোকান খুঁজে না পেলে কীভাবে অর্ডার করা সম্ভব? আপাতত এই প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে।
অনেকক্ষণ রোবটের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করার পরে অবশেষে ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর পরে কোম্পানির তরফ থেকে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
যদিও এই তালিকায় শুধুমাত্র Swiggy একা নয়। সম্প্রতি দিল্লির খান মার্কেটের একটি রেস্তোরাঁ থেকে দুপুরের খাবার অর্ডার করেন এক দম্পতি। টেলিফোনে তাঁদের জানানো হয়েছিল অনেক দিন আগেই এই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এই ভুয়ো রেস্তোরাঁগুলি খাবার ডেলিভারি অ্যাপে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে? এর ফলে গ্রাহককে বিনা কারণে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি INAS কে Swiggy-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই কাজের জন্য আলাদা একটি দল রয়েছে। যে সব দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অথবা আমাদের গুণমান বজায় রাখতে পারছেন না সেই রেস্তোরাঁগুলিকে চিহ্নিত করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক কোন অভিযোগ জানালে অথবা কোন রেস্তোরাঁ বন্ধ হলে সঠিক তদন্তের পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
Zomato-র তরফ থেকে জনানো হয়েছে কোন কারণে সাময়িক বা পাকাপাকিভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ হলে সাথে সাথে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন