Photo Credit: NASA
প্রাচীন অভিযাত্রীদের কাছে, ‘আল্টিমা থুলি' কথার অর্থ ছিল ম্যাপের বাইরে অজানা দেশে অভাযান চালানো। এক কথায় ভ্রমণ এবং আবিষ্কার চরম সীমা।
মানুষের সব সীমার বাইরে যখন ‘নিউ হরাইজনস' কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নাসা তখন ‘আল্টিমা থুলি' নামটি বেশ খাপ খেয়ে গিয়েছিল। প্লুটোর ওপারে ‘কুইপার বেল্টে' সৌর জগতের শেষ সীমায় অবস্থান করে এই ‘আল্টিমা থুলি'।
‘আল্টিমা থুলি' পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে যে পৃথিবী থেকে তা স্পষ্ট দেখা যায় না। তাই এই বস্তুটি কেমন দেখতে তা নিয়ে সংশয় ছিল বিজ্ঞানীদের। গত বছরে পর্যবেক্ষনের পরে এই বস্তুটির আকার ও আয়তন সম্পর্কে জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই ‘আল্টিমা থুলি' –র পাশ থেকে উড়ে গেল ‘নিউ হরাইজনস'। সেই সময় খুব কাছ থেকে ‘আল্টিমা থুলি' –র ছবি তুলবে নাসা। এই ছবি পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লাগবে কয়েক ঘন্টা। ‘নিউ হরাইজনস' থেকে প্রথম ছবি পৃথিবীতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই মানুষের জানার পরিধী এক ধাপে অনেকটা বেড়ে যাবে।
“এটি একটি অভিযান।” বলেন এই মিশনের সাথে যুক্ত বিজ্ঞানী অ্যালান স্টার্ন। “এতদিন কুইপার বেল্টের বস্তুগুলিকে আমরা আলোক বিন্দু হিসাবে দেখতাম। পরম শূণ্যে জমে থাকা বস্তু মানুষ আগে কখনও দেখেনি। সবার এই বিষয় নিয়ে নিজস্ব ধারনা আছে। সব ধারনা ভুল হয়ে যেতে পারে।”
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, “আমরা মঙ্গলবার জানতে পারব।”
নরুন বছরে এই কীর্তি উদযাপন করতে প্রস্তুত নাসা। NASA TV আর YouTube চ্যানেলে এই ঘটনা লাইভ স্ট্রিম চলতে থাকজবে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন