কলারদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি টেলিকম সংস্থাদের ডাটাবেস থেকে আসবে, ফলে তথ্য ভুয়ো হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না।
Photo Credit: TRAI
Original Caller Names to Appear on Screen During Incoming Calls
আপনার ফোন নম্বরে কে কল করছে, তা জানার জন্য Truecaller-এর মতো থার্ড পার্টি অ্যাপের উপর আর নির্ভর হয়ে থাকতে হবে না। দেশের দেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা, টেলিকম রেগুলেরটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI) অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিযোগাযোগ দফতর বা DOT (ডট)-এর এক নতুন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। কলিং নেম প্রেজেন্টেশন (CNAP) নামক সেই নতুন ব্যবস্থায় কলারের নাম গোপন থাকবে না। অর্থাৎ, আপনার ফোনে কল এলে, শুধু দশ সংখ্যার নম্বর নয়, কল করা সেই ব্যক্তির নামও ভেসে উঠবে মোবাইলের পর্দায়। এর ফলে যেমন সহজে ভুয়ো কল চেনা সম্ভব হবে, তেমনই আর্থিক প্রতারণার ঘটনাও কমবে।
কলিং নেম প্রেজেন্টেশন বা সিএনএপি একটি সরকারি সমর্থিত কলার আইডি সিস্টেম। সিমের কানেকশন নেওয়ার সময় কারোর জমা দেওয়া পরিচয়পত্রে যে নাম থাকবে, তার নম্বর থেকে কল করার সময় সেই নামটাই দেখতে পাবেন আপনি। কলারদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি টেলিকম অপারেটরদের ডাটাবেস থেকে আসবে। ফলে তথ্য ভুয়ো হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না।
মোবাইলে কার ফোন আনছে জানতে পারলে স্প্যাম বা প্রতারণামূলক ঘটনার ঝুঁকি কমবে। তবে নতুন ব্যবস্থাটি ঐচ্ছিক হিসেবে সক্রিয় করা হবে। সমস্ত ফোনে এই সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু পরিষেবা না নিতে চাইলে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধ করে দেওয়া যাবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার কাছে কল এলেও স্ক্রিনে শুধু নম্বর ভেসে উঠবে, কলারের নাম নয়।
Jio, Airtel, Vi, BSNL-দের এখন কলিং নেম ডাটাবেস তৈরি ও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে, যেখানে প্রতিটি গ্রাহকের ভেরিফায়েড নাম তাদের রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। যখন আপনার কাছে কল আসবে, তখন সেই ব্যক্তির সিম অপারেটর ডাটাবেসের তথ্য মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে আপনাকে তার নাম জানাবে। ফলে আসল পরিচয় গোপন রেখে ঠগবাজি মুশকিল হয়ে পড়বে।
ট্রাই-এর কাছ থেকে নতুন সিস্টেমের সবুজ সংকেত দেওয়ার আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিযোগাযোগ দফতর দেশের কয়েকটি নির্বাচিত শহরে 4G এবং 5G নেটওয়ার্কে কলিং নেম প্রেজেন্টেশন ফিচারটি ট্রায়াল চালিয়েছে। পরীক্ষার সময় বেশ কিছু প্রযুক্তিগত বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল — যেমন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্যাচের অনুপস্থিতি ও নেটওয়ার্ক আপগ্রেডের অভাব। সেই কারণে ট্রায়াল শুধুমাত্র প্যাকেট-সুইচড নেটওয়ার্কে সম্পন্ন করা হয়েছে, যা মোবাইল ডেটা ও VoIP (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) পরিচালনা করে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন