কথায় আছে “ক্যামেরা 10 পাউন্ড ওজন বাড়িয়ে দেয়”। শুনলে আশ্চর্য হবেন এই কথা কিছুটা হলেও সত্যি।
অবশ্যই ক্যামেরা আপনার শরীরে আতিরিক্ত মেদ যোগ করতে পারে না। কিন্তু বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন লেন্সের আলাদা ফোকাল লেন্থে একই মানুষকে কেমন আলাদা দেখতে লাগে। প্রত্যেক বার একটু করে ক্যামেরা পিছিয়ে আর একটু করে জুম ইন করে একই মানুষকে আলাদা দেখতে লেগেছে।
কিভাবে এই এফেন্ট কাজ করে বোঝার জন্য লেন্স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা থাকা প্রয়োজন। ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে আলো তার দিক পরিবর্তন করে একটি পয়েন্টে এসে সেন্সারের উপরে পড়ে। লেন্সের ফোফাল লেন্থের অর্থ লেন্সের মাঝের পয়েন্ট থেকে ফোকাস পয়েন্টের দুরত্ব। লেন্স ইনিফিনিটিতে ফোকাসে থাকলে অনেক দুরের বস্তু ফোকাসে থাকে।
DSLR এর সাথে থাকা লেন্সগুলির মধ্যে একাধিক ইন্টারনাল লেন্স একসাথে আলোকে বাউন্স করে সেন্সারের উপরে একটি স্বচ্ছ প্রতিবিম্ব তৈরী করে। কম ফোকাল লেন্থে অনেক বেশি জিনিস একসাথে দেখা যায়। কিন্তু বেশি ফোকাল লেন্থে দুরের জিনিস কাছে চলে আসে। আর যুম লেন্সে একাধিক ইন্টারনাল লেন্স নাড়াচড়া করে ফোকাল লেন্থ বদল করে দেয়।
এই এফেক্টকে বলা হয় “ডলি যুম” বা “হিচকক যুম”। জনপ্রিয় পরিচালক অ্যালফ্রেড হিচকক তার ভার্টিগো ছবি এই যুম এফেক্ট ব্যবহার করেছিলেন।
‘ডলি যুম’ করার জন্য ক্যামেরা ক্রমশ পিছনে যেতেযেতে যুম ইন করা হয়। এর মাধ্যমে ফ্রেমের ভিতরে সাবজেক্ট একই মাপে থাকে। এই মাধ্যমে পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ট কমিয়ে বা বাড়িয়ে ফেলা যায়।
সেলফি তোলার সময়েও এই একই ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় খুব ছোট 28 মিমি থেকে 30 মিমি ফোকাল লেন্থ থাকে। আর এই ক্যামেরা মুখ থেকে মাত্র 12 ইঞ্চি দূরে ধরলে আপনার মুখের সাইজ বেড়ে যাবে। এমনকি আপনার নাকটি 30% পর্যন্ত বড় হয়ে যেতে পারে।
যদিও খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। নিজের হার দিয়ে কাছ থেকে সেলফি তোলার পরিবর্তে একটি সেলফি স্টিক ব্যাবহার করে ক্যামেরাটি নিজের থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যান। অথবা কোন বন্ধুকে আপনার ছবিটি তুলে দিতে অনুরোধ করুন।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন