Tesla দিল্লির শোরুমের বেসমেন্ট পার্কিংয়ে চারটি V4 সুপারচার্জার বসিয়েছে। সাকেত, নয়ডা এবং হরাইজন সেন্টারেও চার্জিং নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।
Photo Credit: Tesla
দিল্লিতে টেসলার শোরুমে দাঁড়িয়ে Model Y
মুম্বইয়ে প্রথম শোরুম খোলার এক মাসের মধ্যেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে তাদের দ্বিতীয় বিপণি উদ্বোধন করল Tesla। দেশের রাজধানীর অত্যন্ত অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত অ্যারোসিটির ওয়ার্ল্ডমার্ক 3 বাণিজ্যিক ভবনে বৈদ্যুতিক গাড়ির শোরুম খুলেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি। 8,200 বর্গফুট জায়গা জুড়ে অবস্থিত নতুন শোরুমটির মাধ্যমে রাজধানী ও তার সংলগ্ন অঞ্চলের গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য রাখছে তারা। এটি বিমানবন্দর, দূতাবাস ও বড় বড় কর্পোরেট অফিসের কাছে অবস্থান করার ফলে টেসলার মতো বিলাসবহুল গাড়ি সংস্থার প্রচার ও ক্রেতার সংখ্যা দু'টোই বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেসলা বেসমেন্ট পার্কিংয়ে চারটি V4 সুপারচার্জার বসিয়েছে। পাশাপাশি, সংস্থাটি দিল্লি এনসিআরের বিভিন্ন স্থানে সুপারচার্জার চালু করার পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সাকেত, নয়ডা এবং হরাইজন সেন্টার। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মুম্বইতে প্রথম সুপারচার্জার উদ্বোধন করেছে তারা। এছাড়াও, বেঙ্গালুরু, পুনে, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ এবং জয়পুরের মতো শহরেও চার্জিং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করবে টেসলা।
250 কিলোওয়াট সুপারচার্জারের মাধ্যমে Model Y ইলেকট্রিক গাড়িটি 15 মিনিটের চার্জে 267 কিলোমিটার পথ চলার শক্তি অর্জন করবে। আর 11 কিলোওয়াট স্ট্যান্ডার্ড চার্জারের মাধ্যমে গাড়িটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সারারাত লাগবে। সুপারচার্জারে কিলোওয়াট আওয়ার পিছু চার্জের জন্য 24 টাকা নিচ্ছে টেসলা। স্ট্যান্ডার্ড চার্জারের ক্ষেত্রে মাসুল 11 টাকা। চার্জিং ফেসিলিটি সপ্তাহে সাত দিন 24 ঘন্টা খোলা থাকছে। তবে শোরুম সকাল 10:30টা থেকে সন্ধ্যা 7:30টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ভারতে টেসলার প্রথম গাড়ি হল Model Y। এটির রিয়ার হুইল ড্রাইভ (RWD) ভেরিয়েন্টের দাম 58.89 লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। আর লং রেঞ্জ RWD ভেরিয়েন্টের দাম 67.89 লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি সম্পূর্ণ তৈরি করে অন্য দেশ থেকে ভারতে আমদানি করা হচ্ছে। তার জন্য ভারী শুল্ক দিতে হচ্ছে বলে টেসলার দাম বেশি। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডেলিভারি শুরু হবে।।
টেসলা মডেল ওয়াই এর স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে 63 কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি রয়েছে ও আউটপুট 295 হর্সপাওয়ার। এটি ফুল চার্জে 500 কিলোমিটার (WLTP রেঞ্জ) ছুটতে সক্ষম। অন্যদিকে, RWD মডেলটিতে 83 কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যার আউটপুট 335 এইচপি। এটির রেঞ্জ 622 কিলোমিটার (সার্টিফায়েড)। উভয় মডেলের টপ স্পিড প্রতি ঘন্টায় 201 কিলোমিটার। গাড়িটির সব ফিচার একটি বিশাল টাচস্ক্রিন কনসোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
টেসলা মডেল ওয়াই এর অন্দরমহলে 15.4 ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট, ভেন্টিলেটেড সিট, এয়ার পিউরিফায়ার,অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং, ওয়্যারলেস স্মার্টফোন চার্জার, কানেক্টেড কার টেকনোলজি, অত্যাধুনিক অটোপাইলট সিস্টেম সহ একঝাঁক হাই-টেক ফিচার্স রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য, একাধিক এয়ারব্যাগ, একটি 360 ডিগ্রি ক্যামেরা এবং একটি বিল্ট-ইন ড্যাশক্যাম দেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন