Photo Credit: NASA
বর্তমানে নাসা একটি বিশেষ সমস্যার মধ্যে চলছে। কিছুদিন আগে দুজন মার্কিন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস্ এবং ব্যারি উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ( ISS) আটকে পড়েছে ,এটি নিয়ে নাসাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নাসার এই মিশনটির সময়সীমা ছিল মাত্র 8 দিন। কিন্তু তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য যে বোয়িং- এর স্টারলাইনার মহাকাশযানটির ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটির যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তাদের ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের উল্লেখ্য মিশনের এই অপ্রত্যাশিত সময় দীর্ঘায়নের ব্যাপারটি পরবর্তী ক্ষেত্রে ক্রুড স্পেস ফ্লাইটের নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে এবং ভবিষ্যতের আরও মহাজাগতিক অন্বেষণ কার্যের উপর, কিভাবে প্রভাব ফেলবে, এখন সেটি উদ্বেগের।
বোয়িং স্টারলাইনার, যেটিকে মূলত দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সেট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সময় বেশ কিছু প্রযুক্তিগত, যান্ত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যেমন -হিলিয়াম লিক করা, মূল থ্রাস্টারের ব্যর্থ হয়ে যাওয়া, যার ফলে নাসাকে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য পৃথিবীতে ক্রু-হীন ভাবেই মহাকাশযানটিকে প্রত্যাবর্তন করতে হয়েছে।
নাসা এবং বোয়িংয়ের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পরই নাসা সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং অবশ্যই তারা অযথা ঝুঁকির থেকে নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। স্টারলাইনারের এই বিপত্তির কারণে বোয়িং - এর মহাকাশের প্রতি উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে পর্যালোচনার জায়গায় নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে তাদের যাদের বাণিজ্যিক বিমানের বিভাগে।
Financial Time নামক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসা স্টারলাইনারের এই বিরাট সমস্যার পর, উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য Elon Musk এর স্পেস ড্রাগন ক্রাফটের উপর ভরসা করতে চলছে। বর্তমানে মহাকাশচারী দুজন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই (ISS) থাকবেন।
উইলিয়ামস এবং উইলমোর দুজনেই স্পেসওয়াক এবং রোবটিক্স এই দুই ব্যাপারেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞ মহাকাশচারী। তাই তাদের মধ্যে এই বর্ধিত সময়ে মানিয়ে নেওয়ার উপযুক্ত ক্ষমতা আছে।
অন্যদিকে Spacex ও প্রকাশ করেছেন যে, তারা নাসাকে এই মহাকাশ মিশনে সর্বাগ্রে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত। তারা অবশ্যই এই মিশনে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবেন।
এই বর্ধিত মিশনটি মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে তোলে। যার মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক এবং শারীরিক চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা , বিচ্ছিন্নতা, মহাকাশ বিকিরণ, এবং মাইক্রোগ্রেভিটির দীর্ঘায়িত এক্সপোজের ফলে মহাকাশচারীদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার বড় একটি ঝুঁকি থেকেই যায়।
কিন্তু যায় হোক নিম্ন- পৃথিবী কক্ষপথ এবং বিশেষ সুরক্ষার বৈশিষ্টিটির দ্বারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, এই সমস্ত বিপদগুলি থেকে রক্ষা করে থাকে।
যদিও এই মহাকাশচারীদের দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকার ব্যাপারটি কোনো ধরনের রেকর্ড ভাঙবে না, কারণ এর আগের অনেক মিশনের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেগুলি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিলো।
নাসার SpaceX এর দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি বোয়িংয়ের জন্য একটি ধাক্কা হতে চলেছে ।
হতে চলেছে।যেটির জন্য কোম্পানির মহাকাশ বিভাগকে বিভিন্ন চলমান জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই স্টারলাইনার মিশনটি বাজেট বহির্ভূত এবং সময়সাপেক্ষ হয়ে গিয়েছে ,তার উপর এখন এটিকে পর্যালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এতো অসন্তোষ জনক পরিস্থিতির পরও নাসা সর্ম্পূণরূপে বোয়িংকে পরিত্যাগ করতে পারছে না কারণ, বর্তমানে সংস্থাটি ঐতিহাসিক ভাবে ক্রুড স্পেস মিশনের জন্য একাধিক চুক্তিকারীর উপর নির্ভরশীল।
এই ধরনের পরিস্থিতি, স্পেস ফ্লাইটের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি এবং জটিলতার দিকগুলি তুলে ধরে, বিশেষ করে যখন লক্ষ্য চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে যাওয়ায় মতো আরও বড় মিশনের দিকে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন