BSNL 4G চালু হওয়ার ফলে 90 মিলিয়ন বা 9 কোটিরও বেশি গ্রাহক সরাসরি উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে
BSNL-এর রিচার্জ প্ল্যান বেসরকারি সংস্থাদের তুলনায় অনেক সস্তা
BSNL শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশজুড়ে 4G পরিষেবা চালু করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির 4G নেটওয়ার্ক পরিষেবার সূচনা করেছেন। ঘটনাচক্রে, এই মাসেই 25 বছরে পা দিয়েছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল। ভারতে এক যুগে আগে 4G চালু হলেও সারা দেশে এতদিন চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবার সূচনা করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু শেষমেষ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ সম্পন্ন করল তারা। এমনকি, 4G টাওয়ারগুলিতে সফটওয়্যার আপডেট করলেই তা 5G পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি প্রায় 98,000 টাওয়ারে 4G নেটওয়ার্ক সক্রিয় করেছে, যার ফলে প্রতিটি রাজ্যের ব্যবহারকারীদের জন্য উচ্চ গতির সংযোগ পৌঁছেছে। BSNL এখন সমগ্র ভারত জুড়ে 4G কভারেজ প্রদানের ক্ষেত্রে বেসরকারি টেলিকম অপারেটরদের সাথে একত্রে দাঁড়িয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবার মান উন্নত করতে আরও লক্ষাধিক টাওয়ার বসানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ভারত বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভর 4G পরিষেবা চালু করেছে। আগে এই কৃতিত্ব ছিল সুইডেন, ডেনমার্ক, চিন, ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। সংস্থাটির 4G প্রযুক্তি তৈরির দায়িত্বে ছিল তেজস নেটওয়ার্ক, টিসিএস ও সি-ডট। শক্তিশালী এবং স্বদেশী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে 37,000 কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ভারত সরকার।
বিএসএনএল ফোর-জি চালু হওয়ার ফলে 90 মিলিয়ন বা 9 কোটিরও বেশি গ্রাহক সরাসরি উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বেসরকারি সংস্থাদের তুলনায় বিএসএনএল-এর রিচার্জ প্ল্যানগুলি 30 থেকে 40 শতাংশ সস্তা। ফলে বহু গ্রাহক যারা ক্ষোভে সংযোগ ছেড়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই কম মাসুলের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির নেটওয়ার্কে ফিরতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বিএসএনএলের লক্ষ্য দেশের প্রায় 27,000 প্রত্যন্ত গ্রামে কম খরচে 4G পরিষেবা দেওয়া। বর্তমানে সংস্থাটি 5G চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা এই বছরের শেষ নাগাদ দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলিতে শুরু হতে পারে। 5G ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদী 6G প্রযুক্তি চালুর উপর জোর দিয়েছেন। সরকার 2030 সালের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে। পরিকল্পনা সফল হলে, ভারত 6G পরিষেবা প্রদানকারী প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি হবে।
প্রসঙ্গত, বিএসএনএল ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে এক বছরের সমঝোতা চুক্তি (মৌ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুসারে, ইন্ডিয়া পোস্টের 1.65 লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির সিম কার্ড বিক্রি হবে৷ এর পাশাপাশি গ্রাহকরা মোবাইলের রিচার্জও করতে পারবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেগুলিতে সহজে টেলিকম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন