জোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে 2019 সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন বছরের প্রথম মাস। জানুয়ারি মাসেই পৃথিবী থেকে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। 6 জানুয়ারি এশিয়ার কিছু দেশ থেকে খন্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও সব আকর্ষন কেড়ে নিচ্ছে মাসের শেষের চন্দ্রগ্রহণ।
20-21 জানুয়ারি এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এই দিন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাথে বোনাস হিসাবে থাকছে ‘সুপার ব্লাড উলফ মুন'।
2021 সালের 26 মে তারিখের আগে এটাই শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
চাঁদ ও সূর্যের মাঝে এক সরলরেখায় পৃথিবী চলে এলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পরে। এই মহাজাগতিক ঘটনা চন্দ্রগ্রহণ নামে পরিচিত। পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ সম্পূর্ণ ঢেকে গেলে সেই ঘটনাকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
আরও পড়ুন: বিরল ‘সুপার ব্লাড মুন' দেখা যাবে জানুয়ারিতে
চাঁদ প্ররথিবী ও সূর্য এক সরলরেখায় এলে পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যায়। সেই সময় সূর্যের আলো সরাসরি চন্দ্রপৃষ্ঠে না পড়লেও পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে প্রতিসৃত আলো চাঁদের মাটিতে পৌঁছায়। তখন চাঁদকে লাল দেখায়। এই ঘটনাকে ‘ব্লাড মুন' নামে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এই মাসের পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে। সেই কারনে চাঁদকে তুলনামুলক বড় মনে হবে। এই ঘটনাকে ‘সুপারমুন' আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: 2019 সালে পাঁচটি গ্রহণের দুটি দেখা যাবে ভারত থেকে
জানুয়ারি মাসের পূর্ণিমা ‘উলফ মুন' নামে পরিচিত। নেটিভ আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানরা এই নাম রেখেছিলেন। বিশ্বের অন্য প্রান্তে ক্ষুধার্ত নেকড়েদের খাদ্যের অভাবে ডাকার কারনেই এই পূর্ণিমার নাম হয়েছে ‘উলফ মুন'।
কবে, কখন চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে?
আগামী 21 জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল 10 টা 11 মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। 62 মিনিট ধরে চলবে এই গ্রহণ। ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে না। পূর্ব আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপ থেকে এই গ্রহণের শুরু দেখা গেলেও অল্প সময়ের মধ্যেই চাঁদ দিগন্তে অস্ত যাবে। পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর ও দুখিণ আমেরিকা থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
2018 সালের 27 জুলাই শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় সূর্যগ্রহণ: কোথায়, কখন দেখা যাবে এই মহাজাগতিক ঘটনা?
কীভাবে দেখবেন এই চন্দ্রগ্রহণ?
আকাশে চন্দ্রগ্রহণ দেখা খুবই সহজ। খালি চোখেই দেখা যায় এই মহাজাগতিক ঘটনা। তবে আগেই জানানো হয়েছে ভারত থেকে জানুয়ারি মাসের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে আপনি আফ্রিকা, ইউরোপ বা আমেরিকায় থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে আকাশে চাঁদের দিকে তাকালে চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন। এই গ্রহণ দেখার জন্য কোন বিশেষ টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না।
চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে কয়েকটি ভুল ধারনা
NASA –র ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে ‘সুপারমুন' এর কারনে কখনওই বন্যা, ভুমিকম্প, বা জ্বালামুখী বিষ্ফোরণ হয় না।
তবে জোয়ার-ভাঁটায় টান বাড়ে ‘সুপারমুন' এর সময়। এই দিন পৃথিবীপৃষ্ঠে চাঁদের টান 42 শতাংশ বেশি থাকবে। তবে এই কারনে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হবে না।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন