করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়জন ও পরিচিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বেশিরভাগ মানুষ WhatsApp কে বেছে নিয়েছেন। হঠাৎ WhatsApp-এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে হ্যাকারদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। “সোশ্যাল হ্যাকিং” এর মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারে হ্যাকাররা।
“সোশ্যাল হ্যাকিং” আসলে কী? ইতিমধ্যেই হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টকে কাজে লাগিয়ে সেই ব্যক্তির বন্ধু ও প্রিয়জনের অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চলে। একটি ছয় ডিজিট ওটিপি এসএমএস এর মাধ্যমে পাঠিয়ে হ্যাক করা হয় অ্যাকাউন্ট। 2018 সালে প্রথম "সোশ্যাল হ্যাকিং" সামনে এলেও সম্প্রতি আবার এই সমস্যা বেড়েছে।
মনে করুন ইতিমধ্যেই প্রথম ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এবার প্রথম ব্যক্তির কোন এক বন্ধুকে (দ্বিতীয় ব্যক্তি) হ্যাক ইতিমধ্যেই হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই মেসেজ করা শুরু করে হ্যাকাররা। মেসেজে হ্যাকাররা দ্বিতীয় ব্যক্তিকে জানায় যে কোন অজ্ঞাত কারণে নিজের নম্বরে মেসেজ না পৌঁছনোর কারণে দ্বিতীয় ব্যক্তির মোবাইলে একটি নম্বর পাঠানো হয়েছে। সেই নম্বর পৌঁছলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে ঐ নম্বর পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে হ্যাকাররা। দ্বিতীয় ব্যক্তি কখনই বুঝতে পারেন না যে তিনি হ্যাকারদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এই অবস্থায় বেশিরভাগ সময় মানুষ সেই কোড প্রথম ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দেন। আসলে তিনি নিজের WhatsApp অ্যাকাউন্টে লগ ইন ওটিপি হ্যাকারদের হাতে তুলে দিলেন। এর পরে খুব সহজেই হ্যাকাররা দ্বিতীয় ব্যক্তির WhatsApp অ্যাকাউন্টের দখল নেন।
ইন্টারনেটকে সুস্থ রাখতে স্টেটাস ভিডিওতে লাগাম টানল WhatsApp
এক ঝলকে টেক দুনিয়ার সব খবর: দেখুন গ্যাজেট এক্সপ্রেস
2018 সালেও এই উপায়ে একাধিক হ্যাকিংয়ের তথ্য সামনে এসেছিল। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের একাধিক দেশে WhatsApp -এর জনপ্রিয়তা হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে হঠাৎ আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে হ্যাকাররা।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন