Photo Credit: JBL
JBL Endurance Zone কালো, নীল, বেগুনি এবং সাদা রঙে পাওয়া যাবে
JBL Endurance Zone ওপেন-ইয়ার স্পোর্টস ইয়ারফোন মঙ্গলবার আর্ন্তজাতিক বাজারে লঞ্চ হল। এটি সংস্থার প্রথম ওপেন-ইয়ার স্পোর্টস হেডসেট ও এতে ডুয়াল-ড্রাইভার সেটআপ রয়েছে। কানকে আরামদায়ক এবং সুস্থ সবল রাখতে ওপেন-এয়ার ইয়ারফোনের জুরি মেলা ভার। এই ধরনের হেডফোন কানের খালে প্রবেশ করে না, ফলে কানের উপরে চাপ কমে যায়। স্বাভাবিক শব্দ শুনতে চাইলে JBL Endurance Zone-এর মতো ওপেন-ইয়ার মডেল ভাল বিকল্প। উপরন্তু, এটি অ্যাডাপ্টিভ বাস বুস্ট এবং ওপেনসাউন্ড প্রযুক্তিও সমর্থন করে। ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিট্যান্সের জন্য IP68-রেটেড এবং মাল্টিপয়েন্ট কানেক্টিভিটি অফার করে। চার্জিং কেস ধরলে, নতুন ইয়ারফোনটি একবার চার্জে 32 ঘন্টা পর্যন্ত প্লেব্যাক টাইম অফার করবে বলে দাবি করেছে জেবিএল।
JBL Endurance Zone একটি ওপেন-ইয়ার ডিজাইন সহ এসেছে যার সাথে একটি নমনীয় ইয়ার হুক এবং একটি হালকা স্প্লিট স্ট্রাকচার রয়েছে। ইয়ারফোনে IP68 ধুলো ও জল-প্রতিরোধী বিল্ড আছে। কোম্পানি দাবি করছে, তাদের হেডফোনে থাকা JBL PulseDry বৈশিষ্ট্য ইয়ারফোন থেকে যে কোনো আর্দ্রতা অপসারণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর অর্থ হল কানের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
জেবিএল তাদের এন্ডুরেন্স জোন ইয়ারফোনে 18 মিমি এবং 11 মিমি ডুয়াল-ড্রাইভার সিস্টেম ব্যবহার করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে যে ড্রাইভারগুলি কানের খালের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে যাতে শব্দের মান উন্নত হয় এবং ন্যূনতম লিকেজ হয়। হেডসেটটি অ্যাডাপ্টিভ বাস (Bass) বুস্ট সমর্থন করে, যা ভলিউমের উপর ভিত্তি করে অটোমেটিক বাস অ্যাডজাস্ট করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।
JBL Endurance Zone ওপেন-ইয়ার ইয়ারফোনে কোম্পানির OpenSound প্রযুক্তি রয়েছে, যা গান শোনার সময় চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে সাহায্য করে। প্রতিটি ইয়ারবাডে ডুয়াল মাইক্রোফোন রয়েছে যা ফোনে কথা বলার সময় অবাঞ্ছিত শব্দের প্রবেশ কমাতে সাহায্য করে। ইয়ারফোনটি গুগল ফাস্ট পেয়ার, ব্লুটুথ 5.3 এবং মাল্টিপয়েন্ট কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে।
এটির কেসে 520mAh ব্যাটারি রয়েছে, আর প্রতিটি ইয়ারবাডে 58mAh সেল বর্তমান। একবার চার্জ দিলে ইয়ারফোনগুলি 8 ঘন্টা পর্যন্ত এবং চার্জিং কেস সহ 32 ঘন্টা পর্যন্ত টিকে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আবার 10 মিনিটের চার্জে 3 ঘন্টা পর্যন্ত চলার দাবি করা হচ্ছে।
JBL Endurance Zone এর দাম 129.99 ইউরো রাখা হয়েছে যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় 11,200 টাকা। এটি জুলাই থেকে একঝাঁক রঙের বিকল্পে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাবে। ভারতে কবে আসবে সেটা এখনও জানা যায়নি।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন