Photo Credit: Facebook/ COAI
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রায় গোটা দেশবাসী এখন ঘর বন্দী। এই অবস্থায় অনেকেই ঘরে বসে বিভিন্ন স্ট্রিমিং সার্ভিসে সিনেমা ও সিরিজ দেখে সময় কাটাচ্ছেন। Hotstar, Netflix, Prime Video, YouTube -এর মতো অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেগুলি জনপ্রিয়তা রাতারাতি অনেকটা বেড়েছে। ভিডিও স্ট্রিম করতে বিপুল পরিমাণ ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হয়। একসঙ্গে অনেক মানুষ স্ট্রিম করার কারণে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হতে পারে। তাই আগাম ব্যবস্থা হিসাবে স্ট্রিমিং কোয়ালিটিতে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেলুলার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া।
এক চিঠিতে জানানো হয়েছে বিগত কয়েক দিন মানুষ ঘরে বসে থাকার কারণে স্ট্রিমিং সার্ভিসের উপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
“হঠাৎ এই বিপুল ব্যবহারের কারণে ইন্টারনেট পরিষেবার উপরে চাপ পড়তে শুরু করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই চাপ সামাল দিতে সার্ভিস প্রোভাইডাররা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।” চিঠিতে জানানো হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউনের কারণে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের উপর চাপ পড়তে শুরু করেছে। “এই মুহূর্তে স্ট্রিমিং সার্ভিসদের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিষেবা চালিয়ে যেতে সাহায্য করা উচিত।”
দুই তরফে একমত হয়ে স্ট্রিমিং সার্ভিস কোম্পানিগুলিকে সঠিক বিট রেট ঠিক করে নিতে হবে। ইন্টারনেট পরিষেবা চালিয়ে যেতে এই পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যিক হয়েছে।
এই জন্য স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলিকে হাই ডেফিনিশন স্ট্রিমিং -এর বদলে স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনিশন স্ট্রিমিং-এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞাপন ও পপ-আপ এর জন্য অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করার কথাও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে কোম্পানিগুলিকে।
করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে লঞ্চ হবে Redmi K30 Pro
এক ঝলকে টেক দুনিয়ার সব খবর: দেখুন গ্যাজেট এক্সপ্রেস
ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেও ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে মানুষ ঘরে বসে আছেন। সেখানেও ইন্টারনেট পরিষেবা চালিয়ে যেতে স্ট্রিমিং সার্ভিস কোম্পানিগুলি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের Facebook পেজ অথবা ফলো করুন Twitter আর সাবস্ক্রাইব করুন YouTube.
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন